নব্বইয়ের দশকে টলিউডে একের পর এক বাংলা ফিল্মে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের তারকা ফিরদৌস (Ferdous Ahmed)। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে আর টলিউডের বাংলা ফিল্মে দেখা যায় না। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন ফিরদৌস স্বয়ং। তিনি জানালেন, গত কুড়ি বছর ধরে টলিউড থেকে বারবার তাঁর কাছে ফিল্মের প্রস্তাব আসলেও তিনিই সময়ের অভাবে কাজ করে উঠতে পারেননি বলে জানালেন ফিরদৌস।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। গত কুড়ি বছর ধরে বাংলাদেশের একাধিক ফিল্মে অভিনয় করলেও টলিউডে প্রায় কুড়ি বছর দেখা যায়নি তাঁকে। সময়ের অভাবে কাজ করে উঠতে না পারলেও বর্তমানে কলকাতার কয়েকজন নির্মাতা তাঁর কাছে নিজেদের চিত্রনাট্য পাঠিয়েছেন। আলোচনা চলছে গল্প ও চরিত্র নিয়েও। এমনকি একসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরদৌসকে দেখা না গেলেও তিনি হঠাৎই সাইবার দুনিয়ায় অ্যাকটিভ হয়ে উঠেছেন। ফিরদৌস নিজেই জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি তাঁর ঝোঁক না থাকলেও বর্তমানে তার সাহায্য নিতেই হচ্ছে। কারণ তাঁর মনে হয়েছে, ভক্তদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ফিরদৌস মনে করেন, তাঁর অনুরাগীদের জানার অধিকার রয়েছে তাঁর বিষয়ে। ফলে এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ হয়ে উঠেছেন তিনি।
View this post on Instagram
তবে 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়াল (Kanhaialal Agarwal)-এর জন্য প্রচারে দেখা গিয়েছিল ফিরদৌসকে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, একজন বিদেশি নাগরিক হয়ে ভারতের কোনো রাজনৈতিক প্রার্থীর প্রচার কিভাবে করতে পারেন ফিরদৌস! এরপরেই ফিরদৌসের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
বর্তমানে ফিরদৌসের উপর থেকে ভাষা সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত হলেও প্রচার বিতর্কের জন্য তাঁর হাত থেকে বেশ কিছু ফিল্মের অফার চলে যায়। তার মধ্যে রয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘দত্তা’-র মতো ফিল্ম হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। তবে এই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়েছেন ফিরদৌস। তাঁর মতে, শিল্পীরা আবেগপ্রবণ হন। ফলে আবেগের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
View this post on Instagram