BollywoodHoop Plus

Thalaivi: কঙ্গনা নয়, নিজের বায়োপিকে এই অভিনেত্রীকে দেখতে চেয়েছিলেন প্রয়াত জয়ললিতা

তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা (jayalalitha)-র বায়োপিক তৈরি হচ্ছে বলিউডে। প্রযোজক ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণাওয়াত (kangana Ranawat) অভিনয় করছেন জয়ললিতার ভূমিকায়। ‘মণিকর্ণিকা ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর প্রযোজনায় তৈরি ফিল্মটির নাম ‘থালাইভি’। ফিল্মটি হিন্দি ছাড়া দক্ষিণী ভাষাতেও রিলিজ করার কথা রয়েছে। কঙ্গনা, জয়ললিতার ভূমিকায় অভিনয় করলেও ‘আম্মা’ কিন্তু চেয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai)-কে।

তামিলনাড়ুর বুকে জয়ললিতা ‘আম্মা’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত। 1999 সালে সিমি গারওয়াল (Simi garewal)-এর টক শো-তে উপস্থিত হয়েছিলেন জয়ললিতা। সেই সময় নিজের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছিলেন আম্মা। কথায় কথায় উঠে আসে তাঁর বায়োপিকের প্রসঙ্গ। দ্রাবিড় রাজনীতির পুরুষতান্ত্রিক ধারাকে ভেঙে দেওয়া আম্মা কিন্তু সেদিনও জানতেন, একসময় তাঁর বায়োপিক তৈরি হবে। আম্মা বলেছিলেন, তাঁর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)-কে তাঁর সবচেয়ে যোগ‍্য বলে মনে হয়। তবে আম্মার মতে, ঐশ্বর্য তাঁর অল্প বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে পারলেও তাঁর বয়সকালের চরিত্রকে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন, সেই বিষয়ে কিন্তু জয়ললিতার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।

কিন্তু তাঁর এই সন্দেহকে দূর করে ‘থালাইভি’-তে কঙ্গনা সাহায্য নিয়েছেন প্রস্থেটিক মেকআপ ও হরমোন পিলের। কঙ্গনা নিখুঁতভাবে আম্মার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। ফিল্মের ফার্স্ট লুক দেখে বোঝা যাচ্ছে, জয়ললিতার জীবনের প্রতিটি ঘটনা নিয়ে কতটা রিসার্চ করা হয়েছে!

2016 সালের 5 ই ডিসেম্বর মাত্র আটষট্টি বছর বয়সে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান জয়ললিতা। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ হিসাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কথা উল্লেখ করলেও দ্রাবিড় রাজনীতির তরফ থেকে জয়ললিতার মৃত্যুর রিপোর্টকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর রয়েছে জয়ললিতার বান্ধবী ও সর্বক্ষণের সঙ্গী শশিকলা (sashikala) বা ‘চিনাম্মা’-র দিকে। কারণ মৃত্যুর আগের দিনও আম্মার শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। তিনি অনুরাগীদের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু জয়ললিতার হঠাৎই মৃত্যুতে রহস্যের আভাস পাওয়া গেছে। জয়ললিতার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী, মেরিনা বিচে তাঁর মেন্টর ও প্রেমিক এম.জি.রামচন্দ্রনের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।

whatsapp logo