Lifestyle: খসবে না কোনো টাকা, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ
প্যাচপ্যাচে গরমে ফেসওয়াস কিনতেই হবে, কারণ ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার না করলে মুখ কিন্তু ভীষণ খারাপ হয়ে যাবে লোমকূপের মধ্যে ময়লা জমে থেকে সে আরো বিপত্তি হবে। তবে আমরা বাজারে গিয়ে নানান রকমের ব্র্যান্ডেড কোম্পানির যতই ফেসওয়াশ কিনি না কেন, বাড়িতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান কিন্তু ত্বকে অনেক বেশি পরিষ্কার করে, ত্বকের কোন ক্ষতি না করেই।
প্রথমেই হাতে তুলে নিতে হবে বেসন, পরিমাণ মতন বেসন নিয়ে নিন এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন, সমপরিমাণ চালের গুঁড়ো , তার সঙ্গে নিতে হবে সমপরিমাণ ওটস গুঁড়ো, তার সঙ্গে নিতে হবে, সমপরিমাণ কফি পাউডার, সমপরিমাণ আটা, সমপরিমাণ ময়দা, খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর যতটা পরিমাণ আটা, ময়দা বা বাকি উপাদান নিয়েছেন তার থেকে অর্ধেক পরিমাণ কমলালেবুর খোসাগুলোকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকটি উপকরণকে ভালো করে মিশিয়ে একটি কাঁচের কন্টেনারে বাথরুমেই রেখে দিতে পারেন।
প্রতিদিন স্নান করার আগে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতন কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখ, পিঠ, গলা এবং সারা শরীরে বডি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, আর অবশ্যই লাগানোর আগে এতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিতে একেবারেই ভুলবেন না। লেবুর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড উপাদান আপনার ত্বকের উপরে হওয়া কালো দাগকে একেবারে সহজেই দূর করে দেবে, তাই আর দেরি না করে চটপটবাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ এই ক্লিনজার এটি একবার বানিয়ে রাখলে অন্তত একমাস ঠিক ভাবে চলে যাবে।
এই ফেসওয়াস দিয়ে যদি প্রতিদিন আপনি স্নান করতে পারেন, কিংবা দুবেলা ভালো করে মুখ ধুতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার ত্বকে থাকা সমস্ত সমস্যা এক্কেবারে দূর হয়ে গেছে। বাজার চলতি অনেক রকমের ফেসওয়াশ পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোর মধ্যে আদৌ কতটা প্রাকৃতিক উপাদান থাকে সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহজনক, তাই বাড়িতেই আপনি খুব সহজে এই ক্লিনজার বানিয়ে নিতে পারেন, তবে হাতে যদি একেবারেই সময় না থাকে, তাহলে কাঁচা দুধ দিয়েও কিন্তু মুখ দুবেলা পরিষ্কার করতে পারেন, তাতেও কিন্তু ত্বক ভীষণ সুন্দর পরিষ্কার ঝকঝকে হবে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।