Skin Care: মাত্র ১৫ মিনিটেই ত্বকে আসবে জেল্লা, পুজোর আগেই জেনে নিন অব্যর্থ টোটকা
ভারতীয় সমাজে চন্দনের (Sandalwood) গুরুত্ব অসীম। যেকোনো পুজো পার্বণে এই বিশেষ জিনিসটির খোঁজ পড়বেই। পুরাণে রয়েছে চন্দনের উল্লেখ। সেই সঙ্গে সুপ্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের বহু সমস্যায় চন্দন অদ্ভূত সুফল এনে দেয়। মুখে ব্রণর সমস্যা থেকে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেও ব্যবহার হয় চন্দন। এখন বাজারে উপলব্ধ অনেক প্রসাধনী এবং ত্বক পরিচর্যার জন্য ফেসপ্যাক, ফেস ওয়াশেও অন্যতম উপাদান হিসেবে থাকে চন্দন। তবে যদি একটু উৎকৃষ্ট মানের চন্দন বাড়িতেই থাকে তাহলে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন সব সমস্যার সমাধান।
ট্যান দূর করে– আর কয়েক দিন পরেই দূর্গাপুজো। রোদে পুড়ে ত্বকে পড়া ট্যান তোলার জন্য চন্দন অব্যর্থ। চার চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে অর্ধেকটা লেবুর রস চিপে মিশ্রণ বানিয়ে সেই প্রলেপ দিন ট্যান পড়া জায়গা গুলোয়। শুকিয়ে যাওয়ার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
তৈলাক্ত ভাব কমায়– মুখে অতিরিক্ত তেল থাকলে না ভালো মতো মেকআপ ফোটে, আর ছবিও মন মতো আসে না। চন্দন কিন্তু ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও দূর করতে সাহায্য করে। এক চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মুলতানি মাটি এবং পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে এক মিশ্রণ তৈরি করুন। সারা মুখে ভালো করে মেখে ২০-৩০ মিনিট মতো রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করবেন এটা।
তৎক্ষণাৎ জেল্লা– ত্বকে জেল্লা ফেরাতে চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। এক চামচ ময়দা, এক চামচ চন্দন গুঁড়ো, এক চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন। মাত্র ১৫ মিনিটেই ফিরে আসবে ত্বকের জেল্লা।
চোখের কালি দূর করে– চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে মেশান পরিমাণ মতো গোলাপ জল। এই মিশ্রণের প্রলেপ প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে চোখের তলায় লাগিয়ে নিন। পরদিন সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এটা করলেই হাতেনাতে পাবেন সুফল।
ব্রণর সমস্যায় চন্দন– ব্রণ কমাতে চন্দন খুবই উপকারী। সুফল পেতে এক চামচ চন্দন গুঁড়ো, এক চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে সেটা মুখে মেখে নিন। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা নিয়মিত করতে পারলে সুফল পাবেনই।