Skin Care Tips: ত্বক হয়ে উঠবে ফর্সা ঝকঝকে, বেসনের সাথে মিশিয়ে মাখুন এই জিনিসগুলি
বেসন মূলত ত্বক পরিষ্কার এবং এক্সফোলিয়েট করতে ব্যবহৃত হয়। এটি হেয়ার প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি আমাদের ত্বকের উপকার করতে পারে এমন বিভিন্ন উপায় এখানে রয়েছে। ১) ট্যান দূর করতে- 4 চা চামচ বেসন, 1 চা চামচ লেবু, 1 চা চামচ দই এবং এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এটি সারা মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২) স্কিন লাইটেনিং- লেবুর সাথে ব্যবহার করা বেসন, ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য একটি খুব জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। 4 চা চামচ বেসন, 1 চা চামচ কাঁচা দুধ এবং 1 চা চামচ লেবু মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার সারা মুখে লাগান এবং আলতো করে স্ক্রাব করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) তৈলাক্ততা কমায়- আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক থাকে,এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। দই বা কাঁচা দুধের সাথে বেসন মিশিয়ে মুখে লাগান। 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার মুখের ময়লা এবং মেকআপের অবশিষ্টাংশও দূর করে। ৪) পিম্পলের কমান – প্রাকৃতিকভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, অ্যান্টি-পিম্পল বেসন ফেস মাস্ক ব্যবহার করে দেখুন। 2 চা চামচ বেসন, 2 চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, 1 চা চামচ দুধ এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন, দই, লেবুর রস এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার মুখে লাগান এবং ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, সপ্তাহে তিনবার এই পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করুন। এই প্যাকটি ব্যবহার করার পর তিলের তেল দিয়ে আপনার হাতে ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন।
১) ইনস্ট্যান্ট গ্লো পেতে – 4 চা চামচ বেসন, 1 চা চামচ কমলার খোসা এবং আধা চা চামচ মালাই মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি সারা মুখে এবং ঘাড়ে লাগে। এটি 15 মিনিটের জন্য রাখুন এবং ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২)উপযুক্ত স্ক্রাবার- বেসন ত্বকের জন্যও উপকারী। একটি ঘরে তৈরি বডি স্ক্রাব করুন যা সাবান/বডি ওয়াশে পাওয়া সমস্ত রাসায়নিক থেকে মুক্ত। 3 চা চামচ বেসন, 1 চা চামচ ভুনা ওটস এবং 2 চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ারের সাথে সামান্য কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। আপনার শরীরে মিশ্রণটি লাগান এবং আলতো করে ঘষে নিন। এটি আপনাকে একটি পরিষ্কার এবং মসৃণ ত্বক দেয়।
৩) মুখের অবাঞ্ছিত লোম- বহুদিন ধরেই মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে বেসন ব্যবহার হয়ে আসছে। বেসনের সাথে মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার মুখের লোমে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনি বেসন, লেবুর রস, মালাই এবং চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি অবাঞ্ছিত লোমযুক্ত স্থানে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক তৈরি করুন –
২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো সঙ্গে এক টেবিল চামচ বেসন ভালো করে গুলে যদি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন লাগাতে পারেন, তাহলে আপনি ইনস্ট্যান্ট গুলো পাবেন।
বেসনের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে রোজ স্নানের আগে ভালো করে মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগে অন্তত আধঘণ্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন টক দই। টক দইয়ের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক এসিড আমাদের শরীরের কালো অংশকে ফর্সা করতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে বেসনের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ টক দইকে খুব ভালো করে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে মেখে ফেলুন।
বেসনের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুর রসকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে কালো দাগের উপরে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে তারপরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
বেসনের সাথে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। এই অ্যালোভেরা জেল আমাদের ত্বককে অনেক বেশি নরম করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের উপরে যদি কোনো কারণে কালো দাগ হয়ে থাকে তাহলে অ্যালোভেরা আমাদের সেই কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
বেসনের সঙ্গে উপযুক্ত পরিমাণে নারকেল তেল ব্যবহার করুন এবং এটি স্নান করার আগে ঘষে ঘষে সারা গায়ে মেখে নিন। দেখবেন তারপরে স্নান করার পরে আপনার ত্বক কত পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তিন টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে বেসনকে খুব ভালো করে মিশিয়ে লাগাতে পারেন, যাদের ত্বকের উপরে জ্বালাপোড়া সমস্যা রয়েছে, তারা কিন্তু এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করতে পারেন।
আমরা অনেকেই জানি না, টমেটো আমাদের ন্যাচারাল ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে টমেটোর রসের সঙ্গে যদি বেসনকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে, গলায়, পিঠে এবং যদি সারা গায়ে লাগাতে পারেন এক ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক পরিস্কার উজ্জ্বল হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।