‘গরুর দুধে সোনা’ খুঁজে হয়েছিলেন ভাইরাল, বাস্তবে কত সম্পত্তির মালিক দিলীপ ঘোষ!
রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) নামটির যোগ ওতপ্রোতভাবে। যথেষ্ট পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তিনি। বাংলার রাজনীতিতে তুলনামূলক নতুন হলেও তাঁর মন্তব্যই মূলত থেকেছে চর্চার কেন্দ্রে। তবুও হাজারো ট্রোল, সমালোচনা সামলেও রাজনীতির ময়দানে দিব্যি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। রাজ্য বিজেপির মুখ হিসেবে চর্চায় এলেও এখন কার্যত নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান দূর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
বাঙালি স্টাইলে ‘চায়ে পে চর্চা’ হোক বা ‘গরুর দুধে সোনা’ মন্তব্য, বরাবর লাইমলাইটে থেকেছেন দিলীপ ঘোষ। এহেন একজন খ্যাতনামা রাজনীতিবিদের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে ধারণা আছে? জানলে অবাক হবেন। নিজেকে দলের কর্মী হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ। সাংসদের বেতন এবং ভাতা থেকেই তাঁর উপার্জন।
তাঁর জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল প্রায় ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ২৩০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৬০ টাকা আয় করেন দিলীপ ঘোষ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রায় ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৫০ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর হাতে নগদ প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। পোস্ট অফিসে চারটি স্কিমে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা রয়েছে তাঁর। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কেও রয়েছে অ্যাকাউন্ট। প্রায় ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা অস্থাবর সম্পত্তির মালিক দিলীপ ঘোষ। স্থাবর সম্পত্তির কথা বলতে গেলে, হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, একটি জমি এবং একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। নিউ টাউনের আইডিয়াল ভিলা কমপ্লেক্সে ফ্ল্যাট রয়েছে দিলীপ ঘোষের। ২০২২ সালে প্রায় ৯৯ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। আর তাঁর হলফনামায় উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, তাঁর জমিটির বর্তমান দাম প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ রয়েছে তাঁর। আর প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে দিলীপ ঘোষের।