আমি জাতগোখরো এক ছোবলেই ছবি: বিজেপিতে যোগদানের পর ব্রিগেডের মঞ্চে হুঙ্কার মিঠুনের
আজ বিজেপির ব্রিগেড। আগেরবার যখন বাংলায় নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন, তখন নির্বাচনের সময় প্রকাশ হয়নি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর বাংলায় বিজেপিকে প্রচার কর্মসূচিকে একেবারে উচ্চ সুরে বেঁধে দিতে রবিবার ব্রিগেডে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। রাজ্যে ‘বিজেপি হাওয়ার জোর’ বোঝাতে ভিড়ের নিরিখেও নয়া রেকর্ড তৈরির লক্ষ্য নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। আর আজ বিজেপিতে ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। আগে তৃণমূলে প্রথা ভেঙে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভাতেই গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
বাঙালি সাজে বাঙালিবাবু হাজির হয়েছিলেন ব্রিগেডে। পরণে ধুতি-পাঞ্জাবি,গায়ে জড়ানো পাতলা চাদর আর মাথায় আঁটসাঁট টুপি,চোখে রোদচশমা। গলায় জড়ানো রেশমের স্কার্ফ পড়ে বেলা ১২টায় ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি। আর মোদীর ব্রিগেড মঞ্চ থেকেই বিজেপির দলে নিজের নাম লিখিয়ে নিলেন। ব্রিগেড মঞ্চে নিজের বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই বলে উঠলেন, আজকের দিনটা তাঁর কাছে এক মিষ্টি স্বপ্নের মতো। তিনি যেখানে থাকতেন, সেই তার দুদিকটাই অন্ধ। আরো বললেন, তিনি ব্লাইন্ড লেনে জন্মেছিলেন। সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন কিছু একটা করবেন। কিন্তু এই স্বপ্নটা সেদিন সত্যিই দেখেননি যে যেখানে ভারতের তাবড় নেতারা বসে আছেন, সেই মঞ্চে তিনিও থাকবেন। এটা সত্যিই তাঁর কাছে স্বপ্ন। মন থেকে স্বপ্ন দেখলে সত্যি সেই স্বপ্ন সফল হয়।
গোটা ব্রুগেডে বক্তৃতায় বাংলাতে নিজের মন্তব্য রেখেছিলেন। এরপরই নিজের বক্তৃতায় প্রতিপক্ষের উদ্দেশে বাংলায় বক্তৃতায় ‘বহিরাগত’ তকমার জবাব দিলেন মিঠুন। এদিন ব্রিগেড মঞ্চে রানি রাসমনি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করে মিঠুন বলেন, “এরাই আসল বাঙালি।” পাশাপাশি, আরও বলেন, “আমি গর্বিত আমি বাঙালি।” এরপর রুপোলি পর্দায় তাঁর-ই জনপ্রিয় ডায়লগের সঙ্গে একুশের ভোট-রাজনীতিকে মিলিয়ে দিলেন পর্দার ফাটাকেষ্ট। বললেন ‘জাত গোখরো’ মিঠুন হুঙ্কার দিলেন, “এক ছোবলে ছবি।” আর এরপরই বললেন, এইবারের ভোটে এরকমই হবে।