Business: লোন দেবে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার, এই ব্যবসা শুরু করলে হবে শুধুই লাভ
জীবনে চলার পথে অর্থ দরকার হয় প্রতি পদেই। আর এর জন্য কেউ কেউ চাকরি করেন, কেউ আবার ব্যবসা (Business Plan) করেন। এখন অনেকেই ছোট বড় ব্যবসার কাজে নিজেকে যুক্ত করছেন। চাকরির অভাবে অনেকে ছোটখাটো ব্যবসার দিকেও ঝুঁকছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুঁজি। মূলধনের অভাবে অনেকেই ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবেও পিছিয়ে আসছে।
ব্যবসা মানেই লাভ ক্ষতির হিসাব। ব্যবসা শুরু করা মানে লাভ ক্ষতি দুটোই থাকবে। তবে অনেকেই এটা বুঝে উঠতে পারেন না যে কোন ব্যবসা করলে লাভের পরিমাণ বাড়বে, ব্যবসার জন্য জরুরি মূলধন কীভাবে পাওয়া যাবে। এই প্রতিবেদনে তাদের জন্য রইল এক দারুণ লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া।
এই ব্যবসাটি হল ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ব্যবসা। বর্তমানে পরিবেশ স্বচ্ছ রাখতে দূষণমুক্ত যানবাহনের চাহিদা বাড়ছে। আর সেই কারণেই বাড়ছে বিদ্যুৎ চালিত বাহনের চাহিদা। উপরন্তু পেট্রোল, ডিজেলের বাড়তে থাকা দামের দিকে তাকিয়েও অনেকেই বিদ্যুৎ চালিত যান বেশি পছন্দ করছেন। তাই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ব্যবসা শুরু করলেন তাতে লাভের অঙ্কটাই বেশি থাকবে।
এই ব্যবসার ভাগ
বহুল পরিচিত ব্র্যান্ডেড শোরুম খুলে
কম পরিচিত ব্র্যান্ডেড শোরুম খুলে
মাল্টি ব্র্যান্ড শোরুম খুলে
নিজস্ব ব্র্যান্ডের শোরুম খুলে
ব্যবসায় বেশি ঝুঁকি নিতে না চাইলে পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খুলতে পারেন। তবে পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে।
কম পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খুলে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ কম লাগবে। অন্যান্য যোগ্যতাও কম লাগবে। তবে মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা অনুযায়ী, পরিচিত ব্র্যান্ডের প্রতিই মানুষ বেশি ভরসা করে। ব্যবসায় উন্নতি করার জন্য তৈরি করতে হবে সঠিক কৌশল।
বিভিন্ন কোম্পানির ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল শোরুমে এনে বিক্রি করতে পারবেন। এমন মাল্টি ব্র্যান্ড শোরুম নিজের নামেও খোলা যায়।
বিনিয়োগের পরিমাণ
পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খুলতে প্রাথমিক ভাবে বিনিয়োগ করতে হবে ৩০-৪০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি রাস্তার উপরে শোরুম করার দিকেও নজর রাখতে হবে।
কম পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুমের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে নিয়োগ করতে হবে ১০-২০ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য এই ব্যবসায় এখন প্রতিযোগিতা অনেক কম। তাই ব্যবসায়িক বুদ্ধি থাকলেও ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বিক্রি করে মোটা অঙ্কের লাভ করাও সম্ভব।