Potato Price: আলুর বাড়তে থাকা দামে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের, কেন এত দাম? প্রশ্নের মুখে প্রশাসন
দৈনন্দিন জীবনে সবকিছুরই দাম বেড়ে চলেছ। দেড় মাসের মধ্যে যেমন বেড়েছে আলুর দাম (Potato Price)। জলপাইগুড়িতে মাস দেড়েক আগেও জ্যোতি আলুর দাম প্রতি কেজিতে ছিল ২০ টাকা। মাস দেড়েক পরেই এই দাম গিয়ে ঠেকেছে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায়। ভুটান থেকে আসা আলুর দামও রয়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকায়।
আলুর দামে মাথায় হাত ক্রেতাদের
নিত্যদিনের জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সাধারণ মানুষের। উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গ, বাজারে আলুর দাম আগুন। দক্ষিণবঙ্গে এক ভাবে ঊর্দ্ধমুখী রয়েছে আলুর দাম। তেমনি উত্তরবঙ্গেও ছবিটা এক রকম। স্থানীয় জ্যোতি আলুর জলপাইগুড়ি এবং আশপাশের এলাকার হিমঘর থেকে বেরোনোর সময় দাম থাকছে প্রতি কেজি ২০-২২ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দাম এত বেড়ে যাচ্ছে কেন?
কেন বাড়ছে আলুর দাম
অভিযোগ উঠছে, এর জন্য দায়ী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং ফড়েদের সিন্ডিকেট। শুধু আলুর দাম নয়, স্কোয়াশও বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ খোলাবাজারে সমস্ত সবজির এত দাম বাড়ার কারণ কী? এর কোনো সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। এমনকি বছর কয়েক আগে আনাজের দাম বৃদ্ধির উপরে নজর রাখতে রাজ্য সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্সও আর আছে কিনা সে প্রশ্নও উঠছে। ত্রেতারা আশঙ্কা করছেন, এই মরশুমেই যদি আলুর দাম এত বেশি থাকে তাহলে দু তিন মাস পরে হিমঘর খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হলে তখন আলুর দাম কোথায় পৌঁছাবে।
কী বলছেন প্রশাসন
ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, হিমঘর থেকে আলু বেরোনোর পর দাম কমছে কেজি প্রতি ১৬-২২ টাকা। কিন্তু বাজারে আসতেই সিন্ডিকেটের জন্য আলুর দাম বাড়ছে দ্রুত। কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, এ বছর আলুর দাম প্রথম থেকেই বেশি। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও নাকি আলোচনা হয়েছে কৃষি বিপণন দফতরের। অবশ্য কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, স্থানীয় ভাবে উৎপন্ন হওয়া জ্যোতি আলু উৎপাদনের সময়ই কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছেন। তাই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই আলু। সেক্ষেত্রে ভুটান থেকে আসা আলুর দামও কেন বেড়েছে, তার উত্তর অবশ্য মেলেনি।