whatsapp channel

বৈদিক মতে কন্যাদান ছাড়াই বিয়ে সারলেন ওম-মিমি, নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা নেটিজেনদের

সামাজিক বিয়ে তখনই সম্পূর্ণতা পায় যখন একজন পুরোহিত এসে মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে নব দম্পতির চার হাত এক করে দেয়। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ ছিল ওম-মিমির বিয়ের দিন। দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক…

Avatar

HoopHaap Digital Media

সামাজিক বিয়ে তখনই সম্পূর্ণতা পায় যখন একজন পুরোহিত এসে মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে নব দম্পতির চার হাত এক করে দেয়। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ ছিল ওম-মিমির বিয়ের দিন। দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক প্রেমে এসে থামে, সেই প্রেম পরিনতি পায় যেদিন তাঁরা রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন। কিন্তু হিন্দু নিয়ম নীতি অনুযায়ী একজন পুরোহিত এসে নারায়ণ সাক্ষী রেখে গাঁটছড়া বেঁধে দেন এবং সিঁদুর দানের মতন প্রধান পর্ব বাস্তবায়িত করেন।

দু’জনের প্রথম দেখা ২০১১ সালে, রূপসী বাংলা চ্যানেলের ‘আলোর বাসা’ ধারাবাহিকে। সেই আলোর বাসা আজ সত্যি হল, নতুন করে বাসা তৈরি করলেন ওম-মিমি। আর এই বাসা তৈরি করে দিলেন নন্দিনী ভৌমিক। এদিন কন্যাদান ছাড়াই গাঁটছড়া বাঁধেন এই জুটি। রীতিমত বৈদিক মতে বিয়ে হয়। এই শুভ অনুষ্ঠানে পুরোহিতের দ্বায়িত্বে ছিলেন নন্দিনী ভৌমিক। যারা বাংলা মুভি ভালবাসেন তাঁরা হয়তো ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিটি দেখেছেন। এই বিয়ে যেন ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র বাস্তব রূপায়ন।

শুভদৃষ্টি, সাতপাক, মালাবদল সব নিয়ম একে একে পালন করলেও তার সবটি হয় বৈদিক নিয়ম মেনে। আমাদের দেশের সংস্কৃতির মধ্যে সবচেয়ে আদি রীতি হল বৈদিক নিয়ম। বৈদিক মতে কন্যাদান হয় না। এমনিতেও আজকের শিক্ষিত সমাজ বুঝে গেছে কন্যা কখনো দানের সামগ্রী নয়। বরং পরিসংখ্যান বলছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই তাঁদের বাবা-মায়ের প্রতি বেশি যত্নবান হন। তাই কন্যা কখনোই যে দান সামগ্রী নয় তা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় বড় পর্দায় এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবার ছোট পর্দার তারকা জুটি নিজের বিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কন্যাদান একটি উল্লেখযোগ্য নিয়ম নয় যা একান্ত মানতেই হবে।

অবশেষে সব কিছু পেরিয়ে নতুন করে আলোর বাসা বানাতে চলেছেন ওম-মিমি। এদিন মিমির পরনে ছিল লাল টুকটুকে বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়না, মাথায় মুকুট। অন্যদিকে ওমের পরনে ছিল ধুতি ও মাথায় টোপর। ওম সাহানি অবাঙ্গালী হলেও হিন্দু নিয়ম মেনেই বিয়ে করেন।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media