পুজোর পরেই মা-বোনদের মুখে ফুটবে চওড়া হাসি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রথমে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, আর তারপর ২০২৪ এর লোকসভা ভোট, দুবারই তৃণমূলের বিপুল পরিমাণ ভোটে জয় নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের। আর নেপথ্যে বড় ভূমিকা যে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের (Lokkhir Bhandar) তা একবাক্যে স্বীকার করছেন অনেকেই। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প লাভজনক হয়েছে বাংলার বহু মহিলার কাছে। অনেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের লাভ পেয়ে চলেছেন মাসের পর মাস ধরে।
সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তারা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে থাকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এমনি একটি প্রকল্প যেখানে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে শুরু করা হয়েছিল, যা অচিরেই জনপ্রিয়তার চূড়ায় ওঠে। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তবে এই টাকার পরিমাণ সম্প্রতি ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আর যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা।
এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেমন চলছে তেমনি চলবে। তিনি আরো বলেন, যারা যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু এখনো টাকা পাননি, তারা কিছুদিন অপেক্ষা করুন। পুজোর পরেই সবাই ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ডিসেম্বর থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর আবেদন নিয়ে কাজ করা শুরু হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী এবং কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে ৪০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাকি যে আবেদন গুলি পড়ে রয়েছে, পুজোর পরেই সেগুলি রিভিউ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।