Business Idea: বর্ষাকালে বাড়িতে বসেই করুন এই ব্যবসা, লক্ষাধিক টাকা রোজগারের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে
বর্তমান সময়ে চাকরির বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন অনেকেই। তাই আজকালকার দিনে ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। মূলধন অনুযায়ী সকলেই এখন ব্যবসার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। কেউ কেউ যেমন বেশি মূলধন নিয়ে বড়সড় ব্যবসায় নামার কথা ভাবছেন, তেমনই আবার অনেকে ছোটখাটো অঙ্কের মূলধন নিয়ে বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। তাই অনেকের মতে আগামী প্রজন্ম হয়তো ভারতের বুকে এক অন্য স্বনির্ভর শিল্পবিপ্লব দেখতে চলেছে।
আপনার মনেও হয়তো এসেছে এমন কিছু চিন্তাভাবনা। কিন্তু ব্যবসা তো আর মুখের কথা নয়। কারণ ব্যবসার কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তবে এই বর্ষায় আপনি এমন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন, যা থেকে বিপুল রোজগার করতে পারবেন। অনেকেই মনে করেন, বর্ষায় মাশরুম চাষের ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে মাশরুম চাষে খুব অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করা হয় এবং এ থেকে ভালো মুনাফাও করা যায়। যে ব্যক্তির মাশরুম চাষের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান আছে এবং খামারের জন্য নিজস্ব জায়গা আছে, তাহলে মাশরুম চাষ শুরু করা তার জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প হবে।
বছরখানেক আগে ভারতে মাশরুমের বাজার না থাকলেও গত কয়েক বছরে মাশরুমের বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মাশরুম চাষের ব্যবসাও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। তাই এই ব্যবসার বিষয়ে ভাবতে পারেন আপনিও। বলা বাহুল্য, আমাদের দেশে তিন ধরনের মাশরুম চাষ করা হয়। সেগুলো হলো বাটন মাশরুম, অয়েস্টার মাশরুম এবং প্যাডি স্ট্র মাশরুম। মাশরুম চাষ শুরু করার জন্য একটি ভাল জাত হল অয়েস্টার মাশরুম।
মাশরুম চাষ শুরুর ক্ষেত্রে আগে উপযুক্ত পরিবেশ বিবেচনা করতে হবে। যেমন ঝিনুক মাশরুমের কিছু মৌলিক পরিবেশগত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যেমন ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আর্দ্রতা, ভাল বায়ুচলাচল, আলো এবং পরিচ্ছন্নতা। এভাবে প্রতি বর্গমিটারে ১০ কেজি মাশরুম উৎপাদন সহজেই করা যায়। কমপক্ষে ১২০০ বর্গফুট জায়গার মধ্যে মাশরুম চাষ করা যেতে পারে। উপরন্তু, এই ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য সরকারী ভর্তুকিও পাওয়া যায়। মাত্র ১ লক্ষ টাকার বিনিয়োগে মাশরুম চাষে চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বেশি টাকা আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে।