Hoop Story

Ma Sarada Bani: কঠিন সময়েও মনকে শান্তি দেবে মা সারদার ১০টি বাণী

মানুষের জীবনে যখন খুব অশান্তি আসে, তখন মানুষ বুঝতে পারে না, ঠিক কি করবে। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে যদি মা সারদার দেখানো পথ অবলম্বন করা যায়, তাহলে জীবনে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। তিনি হলেন সকলের মা আপাতদৃষ্টিতে তিনি একজন গ্রামের মহিলা, প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াও অসাধারণ গভীর দর্শনের কথা তিনি বলেছেন তা সত্যিই বিস্ময়ের ব্যাপার।

রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সহধর্মিনী হিসাবে মা সারদা মহাসমাধির আগের মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু বাণী বলে গেছেন, যাদের সন্তানরা দুঃখ কষ্ট অনেকটা লাঘব করতে পারে, সন্তানদের দুঃখ কষ্ট দেখে তিনি বিচলিত হতেন, তাই সরল ভাষায় ভাগবত তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন। যদি জীবনে কোন সমস্যায় থেকে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই বাণীগুলি শুনে নিন।

১)তিনি বলেছেন, আমি একটা কথা বলছি, জীবনে শান্তি চাইলে কখনও অন্যের দোষ দেখো না। দোষ দেখবে নিজের। এই পৃথিবীতে কেউ তোমার পর নয়। সবাই তোমার আপন, এই গোটা পৃথিবীটাই তোমার।

২)আমি সৎ-এরও মা, অসৎ-এরও মা। কোনো ভয় পেয়োনা। যখনই কষ্ট পাবে, মনে মনে জানবে যে তোমাদের একজন মা আছে।

৩) সংসারে কেমন করে থাকতে হয় জানো? যেখানে যেমন, সেখানে তেমন, যখন যেমন, তখন তেমন আর যাকে যেমন, তাকে তেমন।

৪) এই জগতে ভাঙতে সবাই পারে, কিন্তু গড়তে পারে কজন? কারোর নিন্দা করা, কাউকে নিয়ে ঠাট্টা করা – এসব তো সবাই পারে। কিন্তু যে খারাপ, কী ভাবে তাকে ভালো করা যায়, তা ক-জনে বলতে পারে?

৫) যে অল্পেই তুষ্ট থাকে, তাঁর কাছে এই পৃথিবীর সব দুঃখ কষ্টই অনেক হালকা হয়ে যায়।

৬) জীবনের সার কথা হল ভক্তি, ভক্তির সাহায্যে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।

৭) সবাইকে সমান ভাবে ভালোবাসো, যাকে ভালোবাসো, তার কাছ থেকে কিছু দাবি কোরো না। তুমি যদি দাবি করো, তাহলে কেউ তোমাকে বেশি বেশি করে দেবে আবার কেউ কম দেবে। তখন কী হবে, যে বেশি দিচ্ছে, তুমি তাকেই বেশি ভালোবাসবে। এর ফলে তোমার ভালোবাসা আর সবার প্রতি সমান থাকবে না।

৮) কর্মফল ভুগতে হবেই। তবে ঈশ্বরের নাম করলে যেখানে ফাল সেঁধুত, সেখানে সুঁচ ফুটবে। জপ তপ করলে কর্ম অনেকটা খণ্ডণ হয়। যেমন সুরথ রাজা লক্ষ বলি দিয়ে দেবীর আরাধনা করেছিল বলে লক্ষ পাঁঠায় মিলে তাঁকে এক কোপে কাটলে। তার আর পৃথক লক্ষ বার জন্ম নিতে হল না। দেবীর আরাধনা করেছিল কিনা। ভগবানের নামে কমে যায়।

৯) কাজ করা চাই বইকি, কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে। একদণ্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়।

১০) একশো জনকে খাওয়াতে হবে না, কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্তকে দেখলে তাঁকে একটু খেতে দিও।

Related Articles