Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষকে সপাটে চড় আদালত চত্বরে, দেখেই ‘চোর চোর’ শ্লোগান জনগনের
গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতের পথে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোতে আর জি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে সকলে বলে উঠলেন চোর চোর। চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়, তাকে উদ্দেশ্য করে মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেস থেকে গাড়ি করে আলিপুরের বিশেষ আদালতে সন্দীপকে নিয়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন। সেই সময় আদালত চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কমই ছিল। সন্দীপ ঘোষকে আদালতে প্রবেশ করাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় নিরাপত্তা রক্ষীদের।
পরিস্থিতির সামলানোর জন্য অনেক আরও ফোর্স নিয়ে আসা হয়, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করে ফেলা হয়, তারপর আদালত চত্বর থেকে নিয়ে আসা হয় সন্দীপ ঘোষকে, তখন বিক্ষোভকারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো, সন্দীপকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক বিক্ষোভকারী চড় মারেন সন্দীপকে। বছর দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়েছিল।
২০২২ সালের ২ অগস্ট পার্থকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার যখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বেরোনোর সময় তাঁর গাড়ির দিকে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন, এক মহিলা যদিও সেই জুতো তার গায়ে লাগেনি কিন্তু অপমান হয়েছিল অনেক। ১৬ দিন জেরার পর সোমবার আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
অবশেষে বহু মানুষের মনের বাসনা পূর্ণ হল। আর জি কর মেডিকেল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করল সি বি আই। ১৫ দিন জিজ্ঞাসা কর সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করল সিবিআই এর আর্থিক দুর্নীতির দমন শাখা তবে আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও আরো তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে খবর সুত্রে। আর জি কর মেডিকেলের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করার পর গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষী আফসার আলী, এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং।
আগে সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সহ একযোগে ১৫ জায়গায় তল্লাশি করে অনেক কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে ফেলেছে। সিবিআই তারপর গত মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টের দারস্ত হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সী যেখান থেকে জানা যাচ্ছে, যে নথি জালিয়াতির অভিযোগে যুক্ত করা হয়, জামিন অযোগ্য ধারা। একুশে আগস্ট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার এই যে হাতে চলে গেছে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছিলেন।