মুভি মানেই রোম্যান্স থাকতেই হবে। আজকাল ভূতের মুভি হোক বা সামাজিক বা আ্যকশন মুভি সবেতেই জমজমাট রোম্যান্স চাইই চাই। এছাড়াও আজকালকার মুভি মানেই যৌনতার নরম সুড়সুড়ি খানিক থাকবেই। যৌনতা এবং আইটেম ড্যান্স ছাড়া কমার্শিয়াল মুভি একদমই অর্থহীন হয়ে যায়। তবে আগেকার দিনের মুভিতে এত বেশি গরম মশলা থাকতো না। যতটুকু যৌনতা দেখানো খুব প্রয়োজন ব্যাস ততটুকুই থাকত। কিন্তু সময় বদলেছে, এখন রোম্যান্স বা যৌনতার সুরসুড়ি মুড়ি মুরকির মতন।
যারা সিনেমাপ্রেমী তারা নতুন বা পুরোনো নিয়ে বিচার করেন না। সময় পেলেই নানান দেশের এবং নানা ভাষার মুভি গলাধঃকরণ করেন। সেরকমই যদি আপনি পুরোনো সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন তবে হয়ত জানবেন কোন সিনেমায় দীর্ঘক্ষণ চুম্বন দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
অনেকেই আছেন যারা সিনেমায় চুম্বন দৃশ্য দেখলে চোখ টেরিয়ে দেখে নেয় পাশে গুরুজন ঠিক কি করছেন, অনেকে আবার চুটিয়ে রোম্যান্স উপভোগ করেন। আসলে সিনেমা দেখার ব্যাপারটা একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে যারা ইমরান হাশমির মুভি দেখেছেন তারা হয়ত ভাবতে পারেন ইমরান যেভাবে অভিনেত্রীদের কিস করেছেন তাতে করে এমন আঠালো চুম্বন আর কেউ করতে পারেন না। যদিও একটা সময় অভিনেত্রীরা এবং কিছু অভিনেতারা পর্দায় কিসিং সিন করতে চাইতেন না এবং অনেকে করেননি, এই যেমন ভাইজান বা জুহি চাওলা।
যারা পুরোনো মুভি দেখেন তাদের কাছে হয়ত ১৯৩৩ সালের ‘ কর্মা’ দেখেছেন। এই মুভিতে চুম্বন দৃশ্য ছিল প্রায় ৪ মিনিটের। এই চুম্বন দৃশ্যে ছিলেন দেবীকা রানি এবং হিমাংশু রাই। উভয়ে বাস্তব জীবনেও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আজ থেকে প্রায় ৮৮ বছর আগের সিনেমা এটি। এই ছবিটি প্রথমে হিন্দিতে রিলিজ করেনি, পরে হিন্দিতে মুক্তি পায়, মুভিটির নাম – ‘ নাগন কি রাগিনী ‘ । আজও বলিউডের কোনো ছবি এই ছবিকে টেক্কা দিতে পারেনি।