বর্তমান বলিউড জগতের প্রথম শ্রেণীর অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী হলেন আলিয়া ভাট। আলিয়ার প্রথম পরিচয় মহেশ ভাটের মেয়ে। স্টার কিড হলেও খুব স্বল্প বয়সেই নিজের প্রতিভা ও অভিনয়ের দক্ষতায় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন। একের পর এক দুর্দান্ত হিট মুভি বলিউডে উপহার দিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালে করণ জোহর পরিচালিত ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। এরপর একের পর হিট সিনেমা অভিনেত্রীর ঝুলিতে আছে।
এবার আলিয়া রুপোলি পর্দাতে পর্দাপন করছেন গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি সিনেমা দিয়ে। হ্যাঁ গাঙ্গুবাই যার নামে ষাটের দশকের মুম্বই শহর কাঁপতো। এই একটি নামেই কাঁপন ধরত মায়ানগরীর সকল ডন-মাফিয়াদের। তৎকালীন যৌনপল্লি কামাথিপুরার ডাকসাইটে মহিলা ছিলেন তিনি। অনেকের কাছে গাঙ্গুবাই নাম মানেই ‘মুম্বই মাফিয়া কুইন’ নামেই পরিচিত ছিল। সেই কুইন কেমন ছিল এর ওপর সঞ্জয় লীলা বনশালী চিত্রনাট্য বুঁনেছেন। এই টিজার সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ইউটিউবে।
যার প্রথমেই দেখা যাচ্ছে, এই গাঙ্গুবাইয়ের অনুমতি ছাড়া কামাথিপুরার অন্ধকার গলিতে যেমন সূর্যের আলো ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল, ঠিক তেমনই গাঙ্গুবাইয়ের অঙ্গুলি হেলন ব্যতীত কোনও কাক-পক্ষীর প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। কিন্তু গাঙ্গুবাই প্রথমে এমন ছিলেন না। তাঁর স্বামী মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি হয়। এই মহিলাই ধীরে ধীরে নিজেকে একদিন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন দৌর্দণ্ড্যপ্রতাপ নেত্রী হিসেবে। সেই কোঠা থেকে পতিতালয়ের প্রধান থেকে থেকে রাজনীইতে পা রাখেন। এই মহিলার রাজনীতির যাত্রা নেহাতই সুখকর ছিল না তাঁর। কামাথিপুরার সেই ডাকসাইটে মহিলার জীবনকাহিনিই এবার আলিয়া ভাটের হাত ধরে পর্দায় ফুটে উঠতে চলেছে। ইতিমধ্যে অভিনেত্রীর অভিনীত টিজার বেশ প্রশংসা পেয়েছে।
আলিয়া ভাটের ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের এই টিজার দেখে বেশ নজর কেড়েছে । ‘রাজী’, ‘গাল্লিবয়’ সিনেমাতে আগেও নিজের অভিনয় দিয়ে প্রশংসা পেয়েছেন। এবার বনশালির ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’তেও তার অন্যথা হল না। এই সিনেমা শ্যুটিংয়ের বহু আগে থেকেই মুম্বইয়ের যৌনপল্লি কামাথিপুরার ডাকসাইটে মহিলা গাঙ্গুবাঈয়ের চরিত্রকে ভালো করে ফোটানোর জন্য কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। এই সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য করেছেন ভালো হোমওয়ার্ক । মন দিয়ে শিখেছেন যৌনকর্মীর শরীরী ভাষা। উল্লেখ্য, গাঙ্গুবাঈয়ের চরিত্রের জন্য আলিয়াকে আলাদা করে কাঠিয়াওয়াড়ি ভাষাও শিখতে হয়েছিল। অভিনয়ের মাঝে অভিনেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। । টিজারেই নিজের অভিনয় দক্ষতা ফের প্রমাণ করলেন। স্টারকিডের তকমা মুছবে কিনা তা সিনেমা দেখলে বোঝা যাবে।