নোরা ফাতেহি, সুদূর কানাডা থেকে এসেছিলেন ‘দেবদাস’ দেখে। বলিউডের শাহরুখ তার বড্ড পছন্দের। পাসপোর্ট, ভিসা সব রেডি, এম্বাসির সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল ভারতে আসার পথ। বন্ধুদের সঙ্গে সেদিন আড্ডা দেন নোরা, সকলকে জানিয়ে দেন তিনি বলিউডে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। মনে মনে ভেবে রেখেছিলেন যে, ভারতে ফ্লাইট থেকে নামলেই লিমো গাড়ি দাড়িয়ে থাকবে, একটা গ্ল্যামারাস ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন নোরা।
যখন ভারতে এলেন, কোথায় লিমো গাড়ি, কোথায় গ্ল্যামার! চারিদিকে অসংখ্য মানুষ, কোলাহল এক অদ্ভুত পরিবেশ চাক্ষুষ করেন। এরপর বলিউডে অডিশন দেওয়ার পালা। কিন্তু তার আগে হিন্দি শিখতে হবে যে। সেজন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ করেন হিন্দি ভাষা শেখার জন্য। হিন্দি শিখলেন। একদিন অডিশন দিতে গেলেন। কিন্তু যারা অডিশন নিচ্ছিলেন তারা জানতেন যে তিনি কানাডিয়ান অথচ তাকে হিন্দিতে লাইন বলতে বললে নোরা হিন্দি বলেন, কিন্তু যারা অডিশন নিচ্ছিলেন তারা হেসে লুটিয়ে যান। নোরা খুব রেগে যান, এবং তাদের জিজ্ঞাসা করেন কেন হাসছেন তারা? তখন তারা নোরাক কিউট কিউট বলে চেপে যান। সেদিন নোরা কাদতে কাদতে রিক্সা করে বাড়ি ফেরেন, এবং সেই হিন্দি শিক্ষককে ফোন করে বলেন যে তিনি ভালো হিন্দি শিখতে পারেননি, সকলে তাকে অপমান করেছে।
View this post on Instagram
ভারতে আসার আগে ভেবেছিলেন অডিশনে বুঝি ১০ জনের মতন থাকে। কিন্তু এসে অবাক তিনি। কখনো কখনো সংখ্যা ৫০০ পর্যন্ত গেছে। এত মানুষের মাঝে অডিশন তো হল, একবার এই মানুষগুলোর মধ্যে কেউ একজন তার পাসপোর্ট চুরি করে নেয়।
কাস্টিং ডিরেক্টররা তাকে ইউসলেস বলেও তাড়িয়ে দেন, কেউ বলেছেন এর দ্বারা কিছু হবে না, বহুবার বহু জায়গা থেকে অপমানিত হয়ে ফিরেছেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে তার স্মৃতি তুলে ধরতে কেদে ফেলেন এবং এই চোখের জলের কারণ হিসেবে বলেছেন তার বাবা মায়ের সাপোর্ট এর অভাব আর শিক্ষা ব্যাবস্থার দরুন অবস্থা। তার কথায় বইতে যা আমি পড়েছি তার কোনোটাই বাস্তব জীবনে কাজে আসেনি। অবশ্য এখন তিনি জনপ্রিয় শিল্পী এই বি টাউনের।
View this post on Instagram