গরমের স্কিন কেয়ার রুটিন সব ধরনের ত্বকের জন্য
গরমকালে প্রায়শই ঘামাচি, ঘামের দুর্গন্ধ এবং ছোট ছোট র্যাশ নিয়ে সকলেই প্রায় নাজেহাল হয়ে থাকেন। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন কাজের জন্য বাইরে বেরোতে হয়, তাদের পক্ষে বিষয়টি ম্যানেজ করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। তাই দশটি সহজ টিপস এর মাধ্যমে জেনে নিন গরমকালেও কিভাবে নিজেকে ফুরফুরে এবং তরতাজা রাখতে পারেন।
সকাল বেলা এবং রাতে ফিরে এসে ভালোভাবে হালকা উষ্ণ গরম জলে স্নান করতে হবে।
প্রয়োজন পড়লে দুই বেলায় স্নানের জলে লেবুর রস কিংবা গোলাপ জল ফেলে স্নান করলে ভালো থাকবেন।
যাদের পারফিউম ব্যবহার করতে অসুবিধা হয় তারা ওডিকোলন ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া অতিরিক্ত পারফিউম ব্যবহার করার শরীরের জন্য ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই স্নানের আগে এক টুকরো লেবুর সঙ্গে এক চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সেটি যদি আন্ডারআর্মসে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগানো যায়, তাহলে ঘাম এবং দুর্গন্ধ দুই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। লেবুর রস, বেকিং সোডার জায়গায় ফিটকিরির ব্যবহার করতে পারেন।
রাত্রিবেলা কাজের থেকে ফিরে এসে অবশ্যই পায়ের পাতা পায়ের আঙ্গুলের খাঁজ পরিষ্কার করবেন। এর জন্য প্রয়োজন পড়লে গরম জলের মধ্যে শ্যাম্পু সে কিম্বা রকসল্ট ফেলে দিয়ে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলেই একেবারে ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাছাড়া যারা পায়ের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন তারা এটি করলে অনেক উপকার পাবেন।
এরপরে আসা যাক চুলের প্রসঙ্গে গরমকালে অন্য সময়ের তুলনায় চুল অনেক বেশি ঘামে এবং পড়তে থাকে। তাই ফিরে এসে চেষ্টা করুন চুলের শ্যাম্পু করতে যাদের পক্ষে সেটা সম্ভব নয় অর্থাৎ যাদের লম্বা চুল তারা অন্তত চুল ভালো করে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ঘাম ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে চুল সামান্য ধুয়ে শুয়ে পড়ুন।
গরমকালের সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যেকোনো হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করতে হবে।
স্ক্যাল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য লেবুর রস এবং নিমপাতা ফোটানো জল চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন।
অবশ্যই যে কথাগুলি না বললেই নয়, সর্বদা সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করবেন।
সুতির পোশাকের সাথে সাথেই সুতির অন্তর্বাস করার চেষ্টা করুন এবং পারলে দুবেলা তা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।