Hoop StoryHoop Trending

বিজয়ীর শিরোপা না পেলেও ফাইনালে যে গানটি গেয়ে বিচারকদের মুগ্ধ করেন নীহারিকা

দীর্ঘ ছয় মাসের লড়াই শেষে সারেগামাপার অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিরা নিজেদের মতন করে সুন্দর করে গান গেয়ে জয় করলেন। প্রত্যেকের মন বিজয়ীর মুকুট একজনের মাথাতে উঠলেও এই দিন ছয় জনই ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান শিল্পী। ত্রিপুরার আগরতলা বাসিন্দা নীহারিকা এই দিন আয়ে না বালামা অসাধারণ গানটি গেয়ে সকলের মনের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। আপাতত কলকাতাতেই বাস করছেন তিনি৷

পিতার স্মৃতি শংকর নাথ, মাতা নুপুর নাথের সান্নিধ্যে ছোটবেলা থেকেই গান শেখা শুরু করে নীহারিকার। পছন্দের গায়ক নচিকেতা। সেন্ট জোসেফ এন্ড মেরিস এ পড়াশোনা করেন তিনি। আঁকতে ভালোবাসেন তিনি। পড়াশোনা, আঁকা, গানের পাশাপাশি সে তার আশেপাশের গরীব মানুষকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে এমন প্রমানও পাওয়া গেছে।

গান ভালোবেসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যোগদান করেছে নীহারিকা। ২০০৯ সালে জি বাংলা সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প এ নিয়ে আসেন৷ সেখানেও ছোট নীহারিকা তার গলার যাদুতে সকলের মন জয় করেন। এখানে চতুর্থ রানার্স আপ হন তিনি। তারপর জি বাংলা সারেগামাপা এ ডুয়েট লিটল চ্যাম্পে অংশ নিয়ে সামন্তন আর নীহারিকা রানার্সআপ হয়। ২০১৫ সালে মাত্র পনেরো বছর বয়সে ইন্ডিয়ান আইডলে জায়গা করে নেন। এখানে ষষ্ঠ রানার্সআপ এর জায়গা করে নেন তিনি। ২০১৭ এ ভয়েস ওফ ইন্ডিয়া এ যোগদান করেও অসাধারণ জায়গা করে নেন। ২০১৮ সালে নিজের ইউ টিউব চ্যানেল শুরু করেন।

শেষমেশ এই বছর জি বাংলা সারেগামাপা র অন্তীম পর্বে আয়েনা বালমা গানটি গেয়ে সকলের মনে জায়গা করে নিল ছোট্ট নীহারিকা। এই এমনি তেই জনপ্রিয়। স্বামী চলচ্চিত্রে জেসুদাস এই গানটি গেয়েছিলেন। মা বাবার সাহচর্যে প্রত্যেকের আশীর্বাদে নীহারিকা আজ সকলের প্রিয়। দেখে নিন তার অসাধারণ পারফর্মেন্স।

Related Articles