‘মমতাকে শুভেচ্ছা জানাবো না’, মানুষের রায়ে ক্ষেপে আগুন বাবুল সুপ্রিয়, পরে ডিলিট করলেন পোস্ট
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আশা করেছিল বঙ্গবাসী। বিভিন্ন এক্সিট পোল সমীক্ষা অনুযায়ী দুই দল প্রায়ই সমানসংখ্যক আসন পাচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ল গেরুয়া শিবির। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বাংলা এসে ২০০ আসন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভাব প্রকাশ করলেও বিজেপি দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে বেরোতে পারেনি। উল্টোদিকে ঘাসফুল শিবির ২৯৪ আসনের মধ্যে ২০০ এর বেশি আসনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যারা বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতা হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তারাও ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল নেতাদের কাছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রথম থেকেই তার জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উল্টো। অরূপ বিশ্বাস বাবুল সুপ্রিয়কে প্রায় ৫০ হাজার ব্যবধানের বিশাল মার্জিনে পরাজিত করেছেন। এত মার্জিনে আর ঠিকমতো সহ্য করতে পারেনি এই নেতা। তিনি হারের জন্য ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে একটি পোস্ট করেন।
বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বাংলার মানুষ ভুল দল নির্বাচন করে ফেলেছে। এরপর আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অভিনন্দন জানাবো না কিংবা বলবো না মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। কারণ বাংলার মানুষ ঐতিহাসিক ভুল করেছে বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ না দিয়ে। বাংলার মানুষ বেছে নিয়েছে দুর্নীতি পরায়ন, অসৎ, অসমর্থ একটি সরকারকে। তারা নির্মম এক মহিলাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছে।” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “আইন মেনে চলার নাগরিক হিসেবে গণতান্ত্রিক দেশের মানুষের রায় শুধু মেনে চলবো আমি। কেবল এইটুকু। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবো না।” তবে বাংলার মানুষের অপমান হচ্ছে বুঝতে পেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ডিলিট করে দেয় তার পোস্ট।