ইলিশ মাছ (Hilsa) বিখ্যাত পদ্মা নদীর। বর্ষাকাল আসলেই খোঁজ পড়ে পদ্মার ইলিশের। গঙ্গার ইলিশের তুলনায় সে ইলিশের স্বাদ কয়েক গুণ বেশি। এ বছর এপার বাংলার মানুষকে খুশি করে দিয়ে ঢালাও ইলিশের উপহার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। টন টন পদ্মার ইলিশ ঢুকেছে ভারতের বাজারে। এদিকে যেখানকার ইলিশের স্বাদ, গন্ধ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল এপার বাংলার মানুষ, তারাই এখন ইলিশের অভাবে মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম আগুন।
মাছের রানী ইলিশ। আর এক্ষেত্রে সবথেকে সুস্বাদু ইলিশের জন্য বরাবরই কলার উঁচু থাকে বাংলাদেশের। পদ্মার ইলিশের চাহিদাই সবথেকে বেশি। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ ২০২২ এর তুলনায় নাকি এ বছরে ইলিশ মাছের সরবরাহ অনেক কম। মাছ বিক্রেতাদের দাবি, গত বছরের তুলনায় অন্তত এক চতুর্থাংশ সরবরাহ কমেছে রূপোলি শষ্যের। এদিকে চাহিদা বাড়ছে দিনকে দিন। ফলতঃ বাজার আগুন। ইলিশে হাত দিতে গেলে ছ্যাঁকা খাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ।
ওপার বাংলার মাছ বিক্রেতাদের মতে, গত বারের তুলনয় চলতি বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে গিয়েছে ইলিশের। এক কেজির একটি ইলিশ বাজারে বিকোচ্ছে প্রায় ১৩০০-১৫০০ টাকায়। ইলিশের চড়া দাম দেখে অন্য মাছের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। ফলে অন্যান্য মাছেরও দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ঢাকার মগবাজার, শাহজাহানপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি বাজারে মাছ বিক্রেতারা জানান, আড় মাছ এবং বোয়াল মাছ কেজি প্রতি ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাচকি মাছের দাম ৬০০-৭০০ টাকা। আর বেলে মাছের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা। বাগদা চিংড়ির দাম ৭০০-৭৫০ টাকা আর গলদা বিকোচ্ছে ১২০০-১৪০০ টাকায়। রুই মাছের দাম ৩৫০-৪৫০ টাকা।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তাতে দাম যে আরো বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু ইলিশের দাম হঠাৎ এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? বর্তমানে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাষের মাছের খাদ্যের দাম বেড়েছে অনেকটাই। সেই কারণেই এত দাম বেড়ে গিয়েছে মাছের।