Cyclone Ashani: আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, কতটা প্রভাব পড়বে এই রাজ্যে!
ক্যালেন্ডারের পাতা অনুযায়ী এখন বসন্ত মাস। কিন্তু আবহাওয়ায় বসন্তের ‘ব’ টুকুও নেই। মার্চ মাসেই হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল শহরবাসী। বসন্তের বাতাস বদলে গিয়েছে গরমের নাভিশ্বাসে। আবার অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির নাকি কোনও প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যে। তাই তাপমাত্রা কমার বদলে উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে। আগামী সপ্তাহে আরও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বাড়বে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কেমন থাকবে সারাদিনের আবহাওয়া? জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য যে এ কোনও অশনি সংকেত নয় তা আবহাওয়াবিদরা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন। আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা। বঙ্গোপসাগরে এই অশনি অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে। এটি এখন মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে এটি মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার মত হতে পারে। মায়ানমার হয় বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে এই নিম্নচাপ। সমস্যা পর্যটকদের আন্দামান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে এবং মৎস্যজীবীদের আগামী তিনদিন সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড় যে বাংলার আবহাওয়া কিছু পরিবর্তন করবে না তা স্পষ্ট। আজ সারাদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণের জেলাগুলিতে এই সপ্তাহে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ থাকবে ৯৩ শতাংশ। যার ফলে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গে কাঠফাটা রোদ্দুর থাকলেও উত্তরবঙ্গের দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকগন। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলা যেমন কালিম্পং, দার্জিলিং আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চে এবার ভয়ানক গরমের সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। যদিও রাত্রের দিকে কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর। যার ফলে বসন্তের আমেজ কিছুটা হলেও থাকবে।