বালুরঘাট তাকে জায়গা দেয়নি। সার্কিট হাউসে মেলেনি ক্ষণিকের বিশ্রাম। শেষে মালদহ গিয়ে হোটেল ভাড়া করতে হয়। কথা হচ্ছে বাংলার গর্ব মিঠুন চক্রবর্তী প্রসঙ্গে। একটা সময় পুজোর উদ্বোধনে যেতেন, ফিতে কাটতেন এবং পারিশ্রমিক হিসেবে যেটা পেতেন সেটা তুলে দিতেন এন জি ও সংস্থায়। নিজের ঘরে শুধুমাত্র অভিনয়ের টাকাটাই নিয়ে যেতেন। এমত অবস্থায়, এখন মিঠুন চক্রবর্তী সে অর্থে কোথাও গিয়ে পুজো উদ্বোধন করেন না। এর কারণ হিসেবে নিজেই জানান যে তার শরীর আগের মত শক্ত সমর্থ নেই।
তবে, মালদহ থেকে সদ্য ফিরেছেন তিনি। ফিরেই হেস্টিংসে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তারকা প্রচারক হিসেবে তেমন সাফল্য আনতে পারেননি মিঠুন দা। মাঝে দুই বছর তাকে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি। তবে, এবার পুজোর আগ দিয়ে তার সক্রিয় উপস্থিতি চোখে পড়ছে। অবশ্য, এই না থাকার প্রসঙ্গে মিঠুন জানান, ‘আমি তো বিজেপির মুখপাত্র নই। ফাইটার হতে গেলে প্রস্তুত থাকতে হবে। আঘাত খাবেন, আঘাত দেবেন। যার শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বেশি শেষ পর্যন্ত তিনিই জিতবেন।’
ওই সাংবাদিক সম্মেলনে মিঠুন এও বলেন যে তিনি এমন একজন ফাইটার, যাকে ন’বার বক্সিং রিংয়ের নক–আউট করে দেওয়া হয়েছিল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পলিটিক্স ন’বার ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু দশ গোনার আগে উঠে পড়ে। তখন যে লাস্ট পাঞ্চটা মারা হয়েছে তাতে আর ওঠেনি।
এদিন সাংবাদিকরা মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেন রাজ্যে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক আর্থিক ও শিক্ষা কেলেঙ্কারি নিয়ে। এই ব্যাপারে, মিঠুনের সাফ জবাব, হতাশায় ভুগি যে এত টাকা আয় করতে পারলাম না। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বন্ধুরা মাঝে মাঝে মজা করে। দোষ না করলে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তে ভয় কীসের?’