বৈশাখে এসেছিল মধুময় রাত, বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রী নবনীতাকে মনের কথা বললেন জিতু কমল
প্রেম এসেছিল, বৈশাখেই বসন্ত এসেছিল জিতু কমলের জীবনে। সেই বসন্ত নিয়েই দুটো বছর পার করে দিলেন জিতু-নবনীতা। ২০১৯ এর এমন দিনেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন ছোটপর্দার অমিতাভ আর জয়া। লক ডাউনের আগে বহু জায়গায় ঘুরতে গেছেন, জীবনে হাসি খুশি মোটিভ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই জুটি। আরও যতদিন বাঁচা হবে একসঙ্গে বাঁচতে হবে, অন্তত এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই একসঙ্গে চলছেন জিতু-নবনীতা।
সম্প্রতি, নিজের বিবাহ বার্ষিকীর দিন জিতু তার স্ত্রী নবনীতার জন্য আবেগঘন চিঠি লিখলেন। দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে একটা মেয়ের স্ত্রী হয়ে ওঠার কাহিনী তুলে ধরলেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জিতুর কথায়, নবনীতা নাকি নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে জানেন না, এমনকি রান্নাটাও নাকি বিশেষ জানতেন না, যেটা পরবর্তীতে হাতের তালুতে ঝোলের স্বাদ নিতে নিতে সে শিখে গেছে। দুহাতে আগলে রাখেন সংসার। বিয়ের দুবছর হতে হতে দুবার মহামারী এসেছে। দুবারই বিবাহবার্ষিকী পালন করা হয়নি, অবশ্য সেই নিয়ে নাকি কোনো আক্ষেপ নেই জিতুর স্ত্রীর। কিন্তু, এইবারের একটু আলাদা ভাবেই স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বুক চিতিয়ে বলেন তিনি তার স্ত্রীকে কতটা ভালোবাসেন। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও স্ত্রীর বুকের ধুকধুক শব্দ আজীবন শুনতে চান।
এই গল্প বিয়ের কিছু দিন আগে, জিতু কমলের বাড়িতে অনেকদিন ধরেই বিয়ের কথা-বার্তা চলছিল। শ্যুটিং ফ্লোরে এসে এই নিয়ে একদিন আলোচনা করেন অভিনেতা ৷ নবনীতা শুনেই সেদিন মজা করে বলেছিলেন,‘‘আমাকে বিয়ে করো ৷’’জিতু নিজেও মজা করে উত্তর দিয়েছিলেন,‘‘ তোমাকে কেন বিয়ে করব, তুমি তো বাচ্চা মেয়ে।’’ এই মজাটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। তার পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টা সিরিয়াস হয়ে গেল। সামাজিক নিয়ম নীতি মেনেই চারহাত এক করে নেন বাংলা টেলিভিশনের ছোট পর্দার অভিনেতা জিতু ও নবনীতা দাস।