স্বামী স্ত্রীকে মারধর করে এই ঘটনা নতুন নয়। বহুবার খবরের পাতায় উঠে এসেছে স্বামীর হাতে স্ত্রী নিগ্রহ, খুন, জখম আরও অনেক কিছু। দুটো মানুষ ঘর বাঁধে অনেক স্বপ্ন, ইচ্ছা নিয়ে। কিন্তু হটাৎ করেই একে অপরের অচেনা হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, ইস বিয়েটা না করলেই পারতাম। কিন্তু, তখন আর উপায় থাকে না। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা করলেও তার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা। একদিকে করুন আইন অন্যদিকে অসুস্থ বৈবাহিক সম্পর্ক, এই দুইয়ের মাঝে বহু দম্পতি পিষে যান। সেরকমই উদাহরণ হিসেবে আজ উঠে আসছে অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির নাম।
এই নিয়ে তার দুটো বিয়ে। প্রথম বিয়েতে ছিল অনেক লাঞ্ছনা। শ্বেতার প্রথম স্বামী ছিলেন রাজা চৌধুরি। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেও সেপারেশন রয়েছেন তিনি। সেখানেও অন্য নরক যন্ত্রণা। তবে প্রথম বিয়ের স্মৃতি অত্যন্ত ভয়নক। প্রসঙ্গত, রাজার ও শ্বেতার মেয়ে পলক। শ্বেতা জানিয়েছেন, ‘মেয়ের তখন ছ বছর বয়স। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ও দেখছে ওর বাবা আমাকে মারছে। নাক মুখ থেকে আমার রক্ত বেরোচ্ছে। সেই দিনই আমি ভাবি ডিভোর্সের কথা।
দ্বিতীয় বিয়েতেও একই শাস্তি ভোগ করছেন অভিনেত্রী। এবারে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়লেন অভিনব কোহলি। একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন, একজন পুরুষ এসে বচসা করছেন এবং ওই বাচ্চাটিকে ওই মহিলার কোলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। শেষে ধস্তাধস্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। এবং ওই লোকটি মহিলাটিকে আঘাত করতে করতে নিচে ফেলে বাচ্চাটিকে নিয়ে দৌড়ে পালায়। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই মহিলাটি ছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি ও বাচ্চাটি তার ছেলে এবং লোকটি ছিলেন শ্বেতার দ্বিতীয় স্বামী অভিনব কোহলি।
View this post on Instagram
শ্বেতা এদিন নিজে এই সিসিটিভি ফুটেজ তার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে তুলে ধরেন এবং জানান যে কীভাবে তার দ্বিতীয় স্বামী তার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেন। এই ভিডিওটি সম্ভবত করছেন শ্বেতার কন্যা পলক। ভাইকে বলছেন, ‘‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই সোনা। দিদি আছে তো তোমার সঙ্গে।’’ ঘরের বাইরে শ্বেতা ও অভিনবকে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। যদিও তাঁদের কথা শোনা যাচ্ছে না।