করোনার বেলাগাম স্রোতের সঙ্গেই ভুয়ো মৃত্যুসংবাদের ঢেউও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। 11 ই মে হঠাৎই বর্ষীয়ান অভিনেতা মুকেশ খান্না (Mukesh khanna)-র মৃত্যুসংবাদ ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নব্বইয়ের দশকের খ্যাতনামা অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে তাঁর অনুরাগীরা সবেমাত্র ‘রেস্ট ইন পিস’ লিখতে শুরু করেছিলেন, তখনই সবাইকে চমকে দিয়ে সশরীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবির্ভাব ঘটল ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্নার।
আবির্ভাবই শুধু ঘটল না, ভয়ানক রেগে একটি ভিডিও করে মুকেশ বললেন, যাঁরা ভুয়ো মৃত্যুসংবাদ ছড়াচ্ছেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে অন্ধকারের দূত। এইসব অন্ধকারের দূতদের ধরে মারা উচিত। মুকেশ বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন এবং সাবধানে আছেন। তাই তাঁকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এই ঘটনা নিয়ে তাঁর পরিবারেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মুকেশ। অনেকেই তাঁকে ফোনের পর ফোন করছেন। এই কারণেই তিনি ভিডিও করে তাঁর জীবিত থাকার খবর সবাইকে জানালেন।
এর মধ্যেই মুকেশের এক অনুরাগী জানিয়েছেন, তিনি মুকেশের মৃত্যুর খবরে যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগেই করোনায় তাঁর মাকে হারিয়েছেন। বি.আর.চোপড়া (B.R.Chopra)-র ‘মহাভারত’-এর মাধ্যমে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল মুকেশ খান্নার। ‘মহাভারত’-এ তাঁর অভিনীত ‘ভীষ্ম’ মানুষকে মুগ্ধ করেছিল। অল্প বয়সী অভিনেতা মুকেশ সত্তর বছর বয়সী ভীষ্ম পিতামহ-র চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করেছিলেন।
মুকেশ পরবর্তীকালে তাঁর সেই সাফল্যের কথা মনে রেখে নিজের প্রোডাকশন হাউসের নাম দেন ‘ভীষ্ম ইন্টারন্যাশনাল’। ‘ভীষ্ম ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রযোজনায় টেলিভিশনে এসেছিল মুকেশ অভিনীত ‘শক্তিমান’। নব্বইয়ের দশক মাতিয়ে রেখেছিল ‘শক্তিমান’ সিরিয়ালটি। সেই সময় ‘শক্তিমান’-এর পোস্টার ও বিভিন্ন মার্চেন্ডাইজ-এ ছেয়ে গিয়েছিল বাজার। এখনও অনেকেই মুকেশের ‘শক্তিমান’-এর কথা বলতে গিয়ে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যান। এরপর মুকেশের প্রযোজনা সংস্থা থেকে ‘আর্যমান’ নামে একটি সিরিয়াল এলেও ‘শক্তিমান’-এর মত তা জনপ্রিয় হয়নি।
View this post on Instagram