অনেক বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে তার ছেলে কিংবা মেয়ে রিয়্যালিটি শোতে গিয়ে নিজের ক্যারিশমা দেখাক বা জনপ্রিয় হোক। বহু পরিবার থেকেই ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আসে স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার নিয়ে। কেউ জিততে পারে কেউ হেরে বাড়ি ফেরে, কেউ কেউ আবার অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রশংসা পায়।সব মিলিয়ে রিয়্যালিটি শো ঘিরে যেমন উন্মাদনা রয়েছে তেমনই রয়েছে অসন্তোষ। বাংলা হোক বা হিন্দি সব রকম শোতে সমালোচনা থাকে ভরপুর। এবারে ইন্ডিয়ান আইডল ১২ ঘিরে তৈরি হলো নতুন বিতর্ক।
স্বয়ং আশা ভোঁসলে বিতর্কিত মন্তব্য করে এই শোকে বিতর্ককের মধ্যে ঠেলে দেন। চলুন দেখি ঠিক কী হয়েছিল ইন্ডিয়ান আইডল ১২ র মঞ্চে।
কিশোর কুমারের গান দিয়ে সাজানো হয়েছিল ইন্ডিয়ান আইডল ১২র বিশেষ পর্ব। তাই নিয়ে উত্তাল ছোট পর্দা থেকে নেটমাধ্যম। দর্শকদের একাংশের দাবি, প্রতিযোগীরা কিশোর কুমারের গান ঠিকমতো পরিবেশন করতে পারেননি। অথচ তাঁদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বিশেষ বিচারক অমিত কুমার নিজে। পাশাপাশি হিমেশ রেশমিয়া, নেহা কক্কর প্রশংসা করেন। এমনকি ওঁরাও কিশোর কুমারের গান গেয়েছিলেন ওই মঞ্চে।
এরমধ্যে কিশোর-পুত্র অমিত কুমার সামনে আনেন রিয়্যালিটি শোয়ের অন্দরমহলের ঘটনা। তিনি জানান, “কেউই কিশোর কুমারের মতো গাইতে পারবে না। আজকাল ছেলেমেয়েরা শুধু তাঁর ‘রূপ তেরা মস্তানা’ জানে। আমাকে সকলের প্রশংসা করতে বলা হয়েছিল, আমি করেছি।’’ এরপরেও তিনি বলেন, তিনি যে পরিমাণ টাকা চেয়েছিলেন সেটা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন। বদলে তিনিও ঢালাও প্রশংসা করেছেন।
এরপরেই প্রশংসার ছলে সমালোচনা করে আশাজি সরব হন। একটি ফ্যানপেজ থেকে গায়িকা বলেন, ‘‘স্বর্ণ যুগের গানকে ভেঙেচুরে, নেচে গেয়ে যে ভাবে পারছে পরিবেশন করছে এই প্রজন্ম। মেনে নিয়েছি। প্রযুক্তির উন্নতি মানতেই হবে। এই প্রজন্ম তাকে কাজেও লাগাবে। তাছাড়া, এ সবই এখন চলছে।’’