অভিনেত্রীদের বডি শেমিং বা চেহারা নিয়ে ট্রোল করা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। শুধু অভিনেত্রীই নয়, সাধারণ মেয়েরাও যুগের পর যুগ ধরে এই ট্রোলিং-এর শিকার। নেটদুনিয়ায় এখন যার নাম ট্রোল, আগে তাকেই বলা হত নিন্দা। পৃথিবীর সর্বত্র মেয়েদের শরীর নিয়ে, চেহারা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। একসময় মেয়েদের ত্বকের রঙ শ্যামবর্ণ হলেই মাখানো হত বেসন, দুধের সর। একসময় তার জায়গা নিল ফেয়ারনেস ক্রিম। মেয়েরা একটু মোটা হলেই সবাই উপদেশ দেন খাওয়া কমাতে। আবার যদি সে রোগা হয়, তাকে খাওয়ার ফিরিস্তি দেওয়া হয়। এমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)।
দূরদর্শনের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘জননী’-র কয়েকটি পর্বে অভিনয় করেছিলেন অপরাজিতা। তখন তিনি যথেষ্ট স্লিম ছিলেন বলে তাঁকে শুনতে হয়েছিল তিনি নাকি তালপাতার সেপাই। এরপর যখন ধীরে ধীরে তাঁর ওজন বাড়তে শুরু করল, তখন তাঁকে বলা হল ‘পাশবালিশ’। অপরাজিতা এসব সমালোচনায় এতটুকুও ভেঙে না পড়ে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন। একসময় তাঁর ওজন বৃদ্ধির কারণে যেসব প্রযোজকরা তাঁকে নিজেদের ফিল্ম থেকে বাদ দিয়েছিলেন, আজ তাঁরাই অপরাজিতার অভিনয়ের প্রশংসা করেন।
কিছুদিন আগেই জনপ্রিয় সিরিয়াল অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)-কে তাঁর গায়ের রঙের জন্য ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ট্রোলের উত্তর দিতে গিয়ে শ্রুতি বলেছিলেন, তাঁর এক্স-বয়ফ্রেন্ড তাঁকে গায়ের রঙ ফর্সা করার টিপস দিতেন। ‘দেশের মাটি’ সিরিয়ালে ‘নোয়া’-র চরিত্রে ভালো অভিনয় করার জন্য শ্রুতিকে গায়ের রঙ ফর্সা করতে হয়নি। নিজের প্রতিভা নিয়েই শ্রুতি জিতে নিয়েছেন দর্শকদের মন।
অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (madhumita sarkar) রোগা বলে প্রায়ই তাঁকে বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়। কোনো ট্রোলকে পাত্তা না দিয়ে দিব্যি এগিয়ে যাচ্ছেন মধুমিতা। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ফিল্ম ‘ট্যাংরা ব্লুজ’।
স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মা’-এর ছোট্ট ঝিলিক তিথি বসু (Tithi bose) এখন টিনএজার। প্রায়ই তিনি নিজের ফটোশুটের ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিথি ভালো নাচেন। প্রায়ই তিনি নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করেন ইন্সটাগ্রামে। কিন্তু নাচের ভিডিও শেয়ার করে অশ্লীল বডি শেমিংয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিথি। পাত্তা দেননি তিনিও। বরং তাঁর সম্প্রতি শেয়ার করা একটি নাচের ভিডিওয় সমালোচনা বদলে গিয়েছে প্রশংসায়।