অমিতাভ বচ্চন (Amitabh bachchan) ও জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)-এর বিয়েও তাঁদের কেরিয়ারের মতোই কিংবদন্তী। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আটচল্লিশ বছর একসঙ্গে পার করলেন বিগ বি ও জয়া।
এদিন অমিতাভ নিজেই জয়ার ও নিজের বিয়ের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন, 1973 সালের 3 রা জুন শুরু হয়েছিল একসঙ্গে চলার সফর। ছবিতে জয়াকে দেখা যাচ্ছে, লাল রঙের শাড়ি পরে বধূবেশে এবং তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন অমিতাভ। প্রকৃতপক্ষে, অমিতাভ এবং জয়ার বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল ‘জঞ্জির’-এর সেট থেকে। সেই বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছিল প্রেমে। অমিতাভের পরিবার জয়াকে পছন্দ করতেন। ‘জঞ্জির’-এর সফলতায় খুশি অমিতাভ-জয়া ঠিক করেন, একসাথে লন্ডন বেড়াতে যাবেন। কিন্তু অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন (Haribansh rai bachchan) তাঁদের বলেন, বিয়ে না করে তাঁরা কোথাও যাওয়ার অনুমতি পাবেন না। ফলে 1973 সালের 3 রা জুন অমিতাভ-জয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেই তাঁরা উড়ে যান লন্ডন।
এরপর বেশ ভালোই চলছি অমিতাভ-জয়ার সংসার। জন্ম হয় অভিষেক (Abhishek Bachchan) ও শ্বেতা (sweta bachchan)-এর। অভিষেক ও শ্বেতা যখন ছোটো, তখন জয়ার জীবনে আসে ঝড়। অমিতাভের জীবনে আসেন রেখা (Reekha)। সেই সময় অমিতাভ-রেখাকে প্রায়ই একসঙ্গে বিভিন্ন পার্টি ও আউটিংয়ে দেখা যেত। শোনা যায়, দুজনে নাকি গোপনে বিয়েও সেরেছিলেন। কিন্তু জয়া ছিলেন কঠিন শিরদাঁড়ার অধিকারিনী। একদিন তিনি রেখাকে নিজেদের বাড়িতে লাঞ্চে নিমন্ত্রণ করেন। সেদিন জয়া রেখাকে ঠান্ডা স্বরে বলেছিলেন, অমিতাভের জীবন থেকে দূরে সরে যেতে কারণ তিনি অমিতাভের স্ত্রী এবং তাঁর কাছ থেকে অমিতাভকে কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। রেখা কি বলেছিলেন কে জানে, তবে সেদিনের পর থেকে তিনি অমিতাভের জীবন থেকে ধীরে ধীরে সরে গিয়েছিলেন।
অমিতাভ বুঝেছিলেন জয়ার প্রকৃত ভালোবাসা যখন তাঁর জীবনে এসেছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ‘কুলি’ ফিল্মের সেটে জখম হওয়ার পর অমিতাভের অপারেশন করা হয়। সেই সময় তাঁকে যে রক্ত দেওয়া হয়েছিল তাতে ছিল হেপাটাইটিসের জার্ম। অমিতাভের বাঁচার কথা ছিল না। অর্ধ-অচেতন অমিতাভ সেদিন দেখেছিলেন তাঁকে বাঁচানোর জন্য জয়ার আকুতি। অমিতাভ নিজেই এই কথা জানিয়ে বলেছেন,;জয়া যখন কাজের সূত্রে মুম্বইয়ের বাইরে থাকেন, তখন নিজেকে খুব একা অনুভব করেছি অমিতাভ। কিন্তু তাঁর কাছে সারপ্রাইজ হয় সেই সময়টা যখন তিনি মর্নিং ওয়াক করে ফিরে দেখেন, সারা বাড়িতে বিরাজ করছে নিয়মানুবর্তিতা, ঠাকুরের থেকে আসছে ধাপে গন্ধ, অমিতাভ বুঝতে পারেন, জয়া এসে গেছেন। আসলে অমিতাভ-জয়া অবিচ্ছেদ্য। মাঝে রেখার আগমন ছিল শুধুই ফ্যান্টাসি। কিন্তু অমিতাভ আসলে জয়াকেই ভালোবেসেছিলেন।
View this post on Instagram