পিরিয়ডস নিয়ে খোলাখুলি বার্তা, ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর বিশেষ পর্বকে কুর্নিশ দর্শকদের
মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ডস নিয়ে আজও খোলাখুলি আলোচনা করা বা কথা বলা নিষিদ্ধ। এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও পিরিয়ডস নিয়ে ট্যাবু রয়ে গিয়েছে সমাজে। মাসের এই বিশেষ সময়ে ঠাকুর দেবতার কাছে যাওয়া বারণ, টক খাওয়া বারণ, এমনকি অনেক জায়গায় মেয়েদের আলাদা থাকা বিধান। সাধারণত সিনেমা, সিরিয়ালেও এই অত্যন্ত সাধারণ বিষয়টা নিয়ে তেমন কোনো বার্তা দেওয়া হয় না। সেই কাজটাই করে দেখালো স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ (Horogouri Pice Hotel)। খোলাখুলি ভাবে মেয়েদের মাসিক নিয়ে কথা বলে দর্শকদের বাহবা কুড়িয়ে নিয়েছে এই সিরিয়াল।
শঙ্কর ও ঐশানীর রসায়ন ইতিমধ্যেই হরগৌরী পাইস হোটেলকে টিআরপি তালিকায় ভালো স্থান করে দিয়েছে। ঐশানীর যুক্তিবাদী এবং প্রতিবাদী চরিত্র দর্শকদের বেশ পছন্দ। এবার আরো একবার সত্যি কথাটা সকলের মুখের উপরে বলতে শোনা গেল তাকে। দর্শকরা জানেন, কিছুদিন আগেই সিরিয়ালে শঙ্করের দাদাকে প্রশ্ন করতে দেখা গিয়েছিল, তিনি যখন ছিলেন না তখন এতগুলো বাড়তি টাকা খরচ হল কী করে? মেয়েদের হাত খরচ দরকার হয় কীসে?
তাঁর ভয়ে বাড়ির অন্য মেয়েরা হাত খরচ চাই না বললেও রুখে দাঁড়ায় ঐশানী। ভাসুর এবং বাড়ির সব সদস্যের সামনেই সে উত্থাপন করে পিরিয়ডসের প্রসঙ্গ। সঙ্গে সঙ্গে মুখ বিকৃত হয়ে যায় অন্যদের, কেউ কেউ কানে হাত চাপা দেয়। ঐশানী বলে চলে, মেয়েরা প্রতি মাসে রজঃশলা হয়, তাই তাদের স্যানিটারি প্যাড কেনার জন্য টাকা দরকার। শঙ্করের দাদা বলে ওঠেন, এসব অশ্লীল, অশালীন কথা তিনি শুনতে চান না।
সঙ্গে সঙ্গে ঐশানী প্রতিবাদ করে ওঠে, এগুলো অশালীন কথা! মেয়েরা রজঃশলা হয় বলেই তারা সন্তানের জন্ম দিতে পারে। স্বয়ং ঈশ্বর তাদের এই ক্ষমতা দিয়েছেন। এগুলো অশ্লীল, নোংরা কথা নয়। সেই সঙ্গে ঐশানী এও বলে, এই সময়ে মেয়েদের পুরনো কাপড় ব্যবহার করলে অনেক রোগ হতে পারে। স্কুল কলেজেও এই নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। সমাজের ছুঁৎমার্গ দূর করতে হরগৌরী পাইস হোটেল এর এই বিশেষ পর্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। কূটকাচালি না দেখিয়ে এমন সিরিয়াল এবং ঐশানীর মতো এমন প্রতিবাদী চরিত্র আরো বেশি প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।