পূজা ব্যানার্জী (Puja Banerjee) লকডাউনের আগেই কলকাতা থেকে মুম্বইয়ে চলে গেছেন স্বামী কুণাল বর্মা (Kunal verma) ও পুত্রসন্তান কৃশিভ (krishiv)-কে নিয়ে। এর মধ্যেই গত 4 ঠা জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ মুক্তি পেয়েছে পূজা অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘পাপ-2’। ‘পাপ-2′ নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পূজা।
মা হওয়ার পর ‘পাপ-2′ তাঁর প্রথম কাজ। অনেকেই বলেন, মা হওয়ার পর নায়িকাদের চেহারায় পরিবর্তন আসে। তাঁদের কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তাঁদেরকে ভুল প্রমাণিত করে পূজা নিজের সৌন্দর্য মেলে ধরেছেন নতুন করে। শুভশ্রী (subhasree ganguly) ইউভানের জন্মের পর তাঁর ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে ট্রোলড হয়েছেন। কিন্তু পূজার সঙ্গে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনিও কৃশিভকে ব্রেস্ট ফিড করান। কিন্তু তাঁর ওজন তিনি অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন বলে জানিয়েছেন পূজা।
পূজা মুম্বইতে কাজ করলেও তাঁর জন্ম কলকাতায়। তাই তাঁর মা-বাবা চান তিনি বাংলাতেও কাজ করুন। ফলে পূজা বাংলায় বেশ কয়েকটি ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। তবে অভিনেত্রী হিসাবে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি না থাকলেও অহেতুক এই ধরনের দৃশ্য চিত্রনাট্যে ঢুকিয়ে দেওয়া পূজার যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। তবে বাংলা বাণিজ্যিক ফিল্মে তাঁকে অভিনেত্রী হিসাবে প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পূজা। তিনি বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ 2′-তে সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া তাঁর আর কিছুই করার ছিল না। পূজা বলেছেন, অডিশন দিতে গিয়ে তাঁকে অনেকবার শুনতে হয়েছে, চরিত্রের তুলনায় তিনি দেখতে বেশি সুন্দর, তাই তাঁকে এই চরিত্রে মানাবে না। তবু পূজার আশা যদি কখনও সৃজিত মুখার্জী (srijit Mukherjee) বা কৌশিক গাঙ্গুলী (Kaushik ganguly)-র ফিল্মে অভিনয়ের ডাক আসে।
টলিউডে কাজ করতে গিয়ে কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি না হলেও বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্মে অনেকবার এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। কিন্তু ভালো কাজ পাওয়ার জন্য কারও শয্যাসঙ্গিনী হওয়ায় বিশ্বাসী নন পূজা। পূজা মনে করেন, কিছু অভিনেত্রী কাজ পাওয়ার জন্য এই ধরনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাওয়ার পর কাজ না পেয়ে ‘মিটু’ অভিযোগ এনেছেন। তবে মেয়েরা যদি এই ধরনের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করেন তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলাবে বলে মনে করেন পূজা।
কলকাতায় থাকাকালীন দেব (Dev) ও অঙ্কুশ (Ankush Hazra), ঐন্দ্রিলা সেন (oindrila sen)-এর কাছ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে অনেক সাহায্য পেয়েছিলেন পূজা। পূজার এক বন্ধুর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা বারবার পূজার বন্ধুর মায়ের খোঁজ নিয়েছেন। ঐন্দ্রিলা তো পূজার সঙ্গে রাতও জেগেছেন। দেব তাঁকে সবরকম ভাবে সাহায্য করেছেন। ‘চ্যালেঞ্জ-2′-এর সময় থেকে দেবের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে পূজার। তবে প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নন পূজা। কৃশিভ তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা বলে মনে করেন তিনি।