whatsapp channel
Hoop PlusTollywood

সাহসী লুকে বরাবরই এগিয়ে সেন কন্যারা, সুচিত্রা থেকে রিয়া রইল সকলের ফটোশুট

এই প্রজন্মের দুই মোস্ট গ্ল্যামারাস সদস্য হলেন রাইমা-রিয়া। রিয়া সেনকে বড় পর্দায় দেখা না গেলেও রাইমার রূপের আগুনে বড় পর্দা আজও জ্বলজ্বলে। অমন গভীর মায়াভরা চোখ, কথা বলার ভঙ্গিমা আজও পুরুষ মনে ঝড় তোলে। এই একই ঝড় সুচিত্রা সেনের সময়েও উঠেছিল। হ্যাঁ, তখন ছিল ষাটের দশক। সুচিত্রা সেনের মায়াভরা মুখ, আর গ্ল্যামার চোখ, সঙ্গে লাস্যময়ীর অভিনয়ে আজও ডুবে রয়েছে বহু ভক্ত।

বহু সামাজিক ট্যাবু ভেঙে সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন মহানায়িকা। পর্দায় তিনি শুধু গৃহবধূর অভিনয় করতেন এমনটা নয়। কখনো নিজেকে শাড়িতে আটকে রাখেননি। ফ্যাশন স্টেটমেন্টেও তখনকার সময়ে তিনি ছিলেন সেরা আইকন। সেই সময় এত সোশ্যাল মিডিয়া আর মোবাইলের যুগ ছিল না, তবে তার লাস্যময়ী ভঙ্গির শরীরী উন্মাদনা ছবি বিভিন্ন পত্রিকা আর ম্যাগাজিনের ফটোশুট সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।

মহানায়িকা সব সাজেই সাবলীল ছিলেন। কখনো ভারতীয় সাজ, কখনো আবার ইন্দো ওয়েস্টার্ন সাজে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে তিনি পারদর্শী। সেই সময়ে তিনি এতটাই মর্ডান ছিলেন যে স্যুইম স্যুট পরেও ছবি তুলতেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। পরবর্তীতে সিনেমা জগতে আসেন সুচিত্রা কন্যা মুনমুন সেন। তিনি যথেষ্ট মর্ডান ও সাহসী অভিনেত্রী ছিলেন। বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম, মারাঠি এবং কন্নড় ছবিতে দেখা গেছে মুনমুনকে।শিলংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর ইংরেজি সাহিত্যে নিয়ে পড়াশুনো। এরপর যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে কমপারেটিভ লিটেরেচারে এমএ করেন তিনি। এসবের মধ্যেই অভিনয় চালিয়ে যান তিনি। পর্দায় বহুবার সাহসী পোশাক এবং বিকিনি ফটোশ্যুট করেন।

এবারে সেই একই ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করছেন মুনমুন কন্যা রাইমা ও রিয়া। রিয়া একজন মডেল হিসেবে যথেষ্ট সাহসী ও আকর্ষণীয়, তেমনই অভিনেত্রী হিসেবে সফল রাইমা। তার চোখের জাদু আর শরীরের লাস্যময়ী ঝঙ্কারে পাগল গোটা নেট দুনিয়া। নিত্যদিন নিজের একের পর এক সাহসী ছবি পোস্ট করে চলেছেন রাইমা ও রিয়া। তবে, সম্প্রতি রাইমা ও রিয়া তার মা ও আম্মার বিকিনি ফটোশ্যুটের ছবি ও তাদের এখনকার ছবি কোলাজ করে বুঝিয়ে দিলেন তারা বংশ পরম্পরা সাহসী।

whatsapp logo