যোগাসন নতুন কিছু নয়, বহু পুরনো এক অভ্যাস।মানুষ ভুলতে বসেছিল, কিন্তু আবার এই যোগাসন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকাল বহু মানুষ তাদের দৈনন্দিনের সময় থেকে কিছু সময় বের করে যোগাসন বা অন্যান্য একদর্সাইজ করেন। এতে শরীর ও মন দুইই শান্ত এবং একপ্রকার সুস্থ থাকে।
সম্প্রতি সেই যোগাসন করার ছবি পোস্ট করেছিলেন বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। লক ডাউন চলাকালীন, বহু সেলিব্রিটি এখন বাড়িতেই যোগাসন করছেন। বাড়িতেই চলছে প্র্যাকটিস। অনেকেই সেই যোগাসনের ছবি বা ডেইলি রুটিন শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে। সেরকমই ইমন চক্রবর্তী, তার একটি যোগাসনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। খুবই ভালো বিষয়। এই ছবি দেখে আমাদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা সেলিব্রিটিদের অনুসরণ করেন। সেক্ষেত্রে এই ধরনের পোস্ট যথেষ্ট পজিটিভ বলা চলে। কিন্তু, সমস্যা এখানেও আছে। একজন ব্যাক্তি ওই ছবির নিচে খুবই জঘন্য কমেন্ট করেন যা বিকৃত যৌনতাকে প্রশ্রয় দেয়।
ইমন চুপ থাকেননি। প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু, করলেও বা কি আসে যায়? যারা জঘন্য কমেন্ট করছেন তাদের অধিকাংশ হলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ফেক অ্যাকাউন্ট এবং বাংলাদেশী মানুষের ভিড় লেগে রয়েছে। তাদের বেশিরভাগ মানুষ নানান সময় অকথ্য ভাষায় ঘৃণ্য কমেন্ট করেন, যা নিউজ ফিল্ডে উল্লেখ্য করা যায় না। প্রশ্ন থাকলো এত বিকৃত মানসিকতার মানুষ কিভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়? অবশ্য যেই দেশে ধর্ষণ করল মামলা বছরের পর বছর চলে সেই দেশ বা সেই রাষ্ট্রে এসব ক্যানসারের মতন।
শুধু টলিউড নয়, বলিউডেও চলে এই একই মন্তব্য। যোগাসন কি যৌনতা? যোগাসন কথার অর্থ হল যোগ, এই বিশ্বের সঙ্গে নিজের শরীর ও মনকে যুক্ত করা। সেটা সম্ভব আসনের মাধ্যমে। তাই যোগাসন হল একটি প্রক্রিয়া, কোনো বিকৃত যৌনতার মাপকাঠি নয়।