নারী কিভাবে শক্তিশালী হয়? পুরুষকে উপেক্ষা করে নাকি পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে নিজের মতন করে, কোনটা?নারীবাদী মানেই কি পুরুষকে অপমান আর নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কার্যক্রম? এমন নারী কি ভারতীয় সংস্কৃতিতে দেবী দুর্গা বা পার্বতী ছিলেন? মহামায়ার হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন শিব, নারায়ণ, ব্রহ্মা এবং আরও অন্যান্য দেবতা।এরপরেই তিনি হয়ে ওঠেন মৃন্ময়ী দেবী। সুতরাং পুরুষ দমিয়ে শক্তিশালী হওয়া যায় না, বরং পুরুষের পাশাপাশি চলে শক্তি বণ্টনের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী হওয়া যায়। তাই নয় কি?
বর্তমান সময়ে চর্চিত অভিনেত্রী হলেন নুসরত জাহান। যিনি তার সামাজিক বিয়ে উপেক্ষা করেছেন এবং সেই বিয়েকে শুধু সহবাস বলে আখ্যা দিয়েছেন। মাতৃত্ব গ্রহণ করেছেন পিতৃ পরিচয় গোপন করে। এখনও পর্যন্ত এই দুটি কাজ তিনি নীতিবিরুদ্ধ করেছেন, যদিও আইন আইনের পথে চলে। কারণ নিখিল ও নুসরতের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়নি। যদিও ডিভোর্স এবং বিয়ে একই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ। সেক্ষেত্রে বিয়ে হলে ডিভোর্স হতেই পারে, কিন্তু, বিয়েকে শুধু সহবাস বলা যায় কি?
সম্প্রতি,নুসরত প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্ন উঠেছে । যারা তার অনুরাগী ছিলেন তারাও নুসরতের কাজে ক্রুদ্ধ এবং হতবাক।নুসরত যেই গর্ভনিরোধ এর বিজ্ঞাপন দিতেন, তার জন্যেও তাকে ট্রোলিং এর শিকার হতে হয়। এমত অবস্থায় নুসরত আবারও নতুন বার্তা দিলেন। কি সেই বার্তা?
নুসরত বলতে চান, তিনি শক্তিশালী।এবং একজন স্বাধীন ও শক্তিশালী নারী। মানুষ তার নামে কি বললো তাতে তার কিছু যায় আসে না।তিনি শুধুই শক্তিশালী। হ্যাঁ, এদিন নুসরত তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, আন্তর্জাতিক মানের কবি সাবা খোদিরের পংক্তি তুলে এনে লেখেন, ‘সবাই চায় নারী শক্তিশালী হোক। সেই নারী আপন শক্তিতে নিজের অবস্থান বদলালেই সমাজের চোখে তার পরিচয় বদলে যায়! তার নামের পাশে তখন যোগ হয় ভিন্ন তকমা। তত ক্ষণে সেই নারী নিজের ক্ষমতায় ক্ষমতাশালী। ফলে, যতই তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হোক, সে কারওর কথাই শুনবে না’!