whatsapp channel

ফেলে দেওয়া পিপিই কিট আর মাস্ক দিয়ে তৈরি করলেন ইট, যুবককে স্যালুট

বিনিশ দেসাই, নামের এই যুবক গুজরাটের বাসিন্দা, তিনি 'ভারতের রিসাইকেল ম্যান' নামে পরিচিত। বি.ডিরিমকোম্পানির তিনি প্রতিষ্ঠাতা। এই কোম্পানির মূলত কাজ হলো বিভিন্ন বর্জ্র পদার্থ দিয়ে পুনরায় শিল্পজাত পদার্থ তৈরি করা।…

Avatar

HoopHaap Digital Media

বিনিশ দেসাই, নামের এই যুবক গুজরাটের বাসিন্দা, তিনি ‘ভারতের রিসাইকেল ম্যান’ নামে পরিচিত। বি.ডিরিমকোম্পানির তিনি প্রতিষ্ঠাতা। এই কোম্পানির মূলত কাজ হলো বিভিন্ন বর্জ্র পদার্থ দিয়ে পুনরায় শিল্পজাত পদার্থ তৈরি করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নানান রকম বর্জ্র পদার্থ তৈরি হচ্ছে। যথা ব্যবহৃত পি.পি.ই. কিট, ব্যবহৃত মাস্ক ইত্যাদি। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন ১০১ মেট্রিক টন করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বর্জ্র পদার্থ তৈরি হচ্ছে। অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য পদার্থ যোগ করলে তা হয় প্রায় প্রতিদিন ৬০৯ মেট্রিক টন।

বিনিশ জানান, “মুখের মাস্ক এখন প্রত্যেকের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। অনেকেই এমন মাস্ক ব্যবহার করেন যেগুলি একবার ব্যবহার করার পরেই ফেলে দিতে হয়। তখন আমিও ভাবলাম ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তো আমি ইট বানাই, তাই এই ফেলে দেওয়া মাস্ক দিয়ে ইট বানালে কেমন হয়।” এই ইট গুলি বানানো হচ্ছে ৫২% ছেঁড়া পি.পি.ই.কিট, ৪৫% কাগজ, এবং ৩% আঠা জাতীয় কোন পদার্থ দিয়ে।

এই ইট বানানোর পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাছাকাছির কোন ল্যাবরেটরীতে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে এগুলি ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। সরকারি ল্যাবরেটরি থেকে একে ব্যবহারের যোগ্য বলে জানানো হয়েছে। এই ইট জল এবং আগুন নিরোধক। দামেও বেশ সস্তা। এক একটি ইটের দাম ২.৮ টাকা। বিনিশ এর ইচ্ছা সেপ্টেম্বর থেকে তিনি তার কাজ পুরোদমে শুরু করবেন। এই বর্জ্র পদার্থ গুলির সংগ্রহ করে ৭২ ঘন্টা ফেলে রাখা হয়। তারপরে এগুলিকে টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। তারপরে কাগজের মন্ড সঙ্গে ভালো করে মাখা হয়। এইভাবে যদি বর্জ্য পদার্থ কে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় তাহলে পরিবেশ অনেকটা দূষণমুক্ত হয়।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media