Cooking Oil: রান্নার তেলেও মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক! বুঝবেন কি করে?
বাজারে বিক্রি হচ্ছে চকচকে পটল, বেগুন, রাঙা আলু। মাঠের ফসল কি এত চকচকে হয়? কিন্তু কিছু করার নেই সন্দেহ হলেও ওই সবজিই কিনতে হচ্ছে গৃহস্থকে। মিষ্টির দোকানে সাজানো শোকেস ভর্তি লাড্ডুর রং দেখে অনেকেরই মনে হয় সেটা কৃত্রিম রং মেশানো নয়তো? কিন্তু কিছু বলার উপায় নেই। রান্নার সামগ্রীতেই যদি ভেজাল থাকে তাহলে মানুষ খাবে কি?
আলু ভাজা, মাছের চপ বা সরষে ইলিশ, বাঙালির রান্নায় তেল থাকবেনা তা হয়! কিন্তু বিজ্ঞাপনে যতই খাঁটি বলে প্রচার করা হোক না কেন, তেলে সামান্য পরিমাণে ভেজাল মেশানো থাকেই। এই সত্যিটা কমবেশি সকলেই জানেন। সাধারণ মানুষ মেনেও নিয়েছেন এই বিষয়টি। কিন্তু বর্তমানে রান্নার তেলের সাথে এমন এক বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হচ্ছে যা শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকারক। সম্প্রতি এফএসএসএআই (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) থেকে প্রকাশিত একটি জার্নালে জানানো হয়েছে যে রান্নার তেলে ট্রাই-অর্থো-ক্রেসেল-ফসফেট (টিওসিপি) নামক এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হচ্ছে যা অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই গণবিষক্রিয়া হওয়ার কারণ ছিল।
দিনের পর দিন এই বিষাক্ত পদার্থ শরীরে গেলে দেখা দিতে পারে নানান উপসর্গ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমদিকে কোনো উপসর্গ দেখা না দিলেও ১০-২০ দিনের মাথায় প্রাথমিক উপসর্গটি চোখে পরবে। তলপেটে ব্যথা কিংবা প্যারেসস্থেশিয়া দেখা দিতে পারে অনেক ক্ষেত্রে। এরপর ক্রমেই পেশি দুর্বল হতে দেখা যাবে। শেষ পর্যন্ত নিন্মাঙ্গে প্যারালিসিসও দেখা দিতে পারে। এমনই ভয়ানক এই পদার্থ।
এর থেকে বাঁচতে কিছু তো উপায় থাকবেই। আপনার রান্নার তেলে টি ও সি পি মেশানো আছে কিনা তা বাড়িতে বসেই পরীক্ষা করে নিন। এর জন্য আপনাকে একটি বাটিতে ২ মিলিলিটার মত তেল নিতে হবে। এরপর এতে এক চামচ মত হলুদ মাখন মেশাতে হবে। এতে যদি তেলের রং না বদলায় তাহলেই আপনি বুঝবেন আপনার রান্নার তেলে বিষাক্ত পদার্থটি মেশানো নেই। কিন্তু পরিবর্তে তেলের রং যদি লালচে হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কিন্তু সমূহ বিপদ। আপনার তেলে মেশানো থাকতে পারে বিষাক্ত পদার্থ। সে ক্ষেত্রে আপনি সতর্ক হবেন এবং সেই তেল আর রান্নায় ব্যবহার করবেন না।