Abhishek-Diya: অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ‘মিঠাই’-এর শ্রীতমা
সম্প্রতি দিয়া মুখোপাধ্যায় (Diya Mukherjee) ও অভিষেক বসু (Abhishek Basu)-র ব্রেক-আপের কথা ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়েছে। দুজনে দুজনকে ইন্সটাগ্রামে আনফলো করেছেন। তবে নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁদের দুজনের সুসময়ের ছবি। এবার অভিনয়, প্রেম সবকিছু নিয়ে মুখ খুললেন দিয়া।
এই মুহূর্তে তিনি ‘মিঠাই’ সিরিয়ালে শ্রীতমার চরিত্রে অভিনয় করছেন। ‘উচ্ছেবাবু’ আদৃত রায় (Adrit Ray)-এর সঙ্গে তাঁর খুব ভালো বন্ধুত্ব। আদৃতকে অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন ‘দাদাভাই’ সম্বোধন করেন দিয়া। শুটিংয়ের অবসরে তিনি ও আদৃত আড্ডা মারেন। কখনও ‘দাদাভাই’ বোনকে গান গেয়ে শোনান। কখনও বা ফিল্ম নিয়েও কথা হয়। সিরিয়ালের মাধ্যমে তাঁদের একটা ছোট বন্ধুদের গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই আদৃতের নতুন গাড়িতে করে ড্রাইভে গিয়েছিলেন তাঁরা। নিজেও গাড়ি চালাতে পারেন দিয়া। গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে লাইসেন্স হাতে পেয়েছেন। এখন নিজে একাই গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যান তিনি।
তবে গাড়ি চালানোর সময় পথে-ঘাটে মানুষের মুখে মহিলা ড্রাইভারদের প্রতি অবিশ্বাস দেখে দিয়ার রাগ হয়। একসময় এই অবিশ্বাস ঘুচিয়ে দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। তিনি মনে করেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ধৈর্য বেশি হওয়ার কারণে তাঁরা ভালো ড্রাইভার হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সম্পর্কে থাকাকালীন অভিষেকের সঙ্গে দীঘা-মন্দারমণি গিয়েছেন। অভিষেকও খুব ভালো ড্রাইভ করতে পারেন। 2017 সালে ‘সীমারেখা’-র সেট থেকে অভিষেকের সঙ্গে দিয়ার প্রেমের সূত্রপাত। কিন্তু কোথাও তাঁদের মতের মিল হচ্ছিল না। তাই ব্রেক-আপের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে দিয়া প্রথমে ভেঙে পড়লেন এখন অনেকটাই নিজেকে ঠিক করে নিয়েছেন।
তবে অভিষেক ও দিয়া দুজনেই আধ্যাত্মিক। প্রেম থেকে যেমন তাঁরা জীবন দর্শন শিখেছেন। তেমনই বিচ্ছেদের কষ্টকর মুহূর্তগুলি সামলেছে তাঁদের আধ্যাত্মিকতা। এই মুহূর্তে সহ-অভিনেতা উদয়প্রতাপ সিং (Udaypratap singh)-এর সঙ্গে দিয়ার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন রটেছে। তিনি ‘মিঠাই’-এ দিয়ার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেন। ‘তুমি এলে তাই’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে দুজনের ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। সেই সময় উদয় ভালো বাংলা বলতে পারতেন না। দিয়া তাঁকে স্ক্রিপ্ট পড়ে দিতেন ও তিনি শুনে মুখস্থ করতেন। এখনও প্রায়ই বাংলা পড়তে গিয়ে সমস্যা হয় উদয়ের। কারণ তিনি বাংলায় জন্মালেও বাংলা ভাষা বলতে পারেন না। হোর্ডিং, পোস্টার দেখে বাংলা শিখেছেন উদয়। তবে উদয় ও দিয়া তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে রটনায় মজা পান। একবার তো তাঁরা ‘মিঠাই’-এর এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসারের কাছে গিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, কে তাঁদের সম্পর্কে এইসব কথা রটাচ্ছেন! তিনি যেন সামনে এসে সমস্ত কথা বলেন।
বেশি ইন্সটাগ্রাম রিল বানাতে পছন্দ করেন না দিয়া। তাঁর কাছে ইন্সটাগ্রাম রিল বানানো মানে সময় নষ্ট। তিনি ধ্যান করতে পছন্দ করেন। মেকআপ রুমে তিনি যখন ধ্যান করেন, তাঁকে কেউ বিরক্ত করেন না, এমনকি তাঁর প্রিয় বন্ধু শ্রীনিপার চরিত্রাভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা (Oindrila)-ও নয়। দিয়া মনে করেন, ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা বেশি হলে কাজ পাওয়া যায় না, তার জন্য যোগ্যতা থাকতে হয়।
View this post on Instagram
দিয়ার মা নাটকে অভিনয় করতেন। বাড়িতে নাটকের পান্ডুলিপি এলে দিয়া তা পড়তে বসে যেতেন। বাংলায় পুরো বাক্য না বলতে পারলেও বানান করে পড়তেন। তাঁর উৎসাহ দেখে আকাশ বাংলা চ্যানেলে তাঁর ছবি জমা দিয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা। সেখান থেকেই একদিন ফোন আসে। মাত্র ছয় বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসাবে যাত্রা শুরু হয় দিয়ার। সেই সময় আকাশ বাংলায় একমাসের ছোট ছোট গল্প দেখানো হত। একটি গল্পে মায়ের চরিত্রের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু দিয়া কাঁদতে পারছিলেন না। তখন তাঁর মা তাঁকে বলেছিলেন, তাঁকে যদি কুমিরে টেনে নিয়ে যায়, দিয়া কি করবেন! তখন দিয়া কেঁদে ফেলেছিলেন।
শৈশবে ‘লাল পাহাড়ীর দেশে’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)-র সঙ্গে অভিনয় করলেও দিয়া কখনও বোঝেননি তিনি একজন তারকার সাথে অভিনয় করছেন। তাঁর কাছে ‘মহাগুরু’ ছিলেন মিঠুন জেঠু। তিনি তখন তাঁর সাথে খেলা করতেন। একসময় বড় বড় তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করা দিয়ার কিন্তু ধারাবাহিকের নায়িকা না হতে পারার আফশোস নেই। তিনি মনে করেন, ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য ঘুরতে থাকে। তাই সব চরিত্রই সমান প্রাধান্য পায়।
View this post on Instagram