Lifestyle: মহালয়ার দিন কেন তর্পণ করা হয় জানেন!
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৪ আশ্বিন, ২১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার প্রতিপদ (কৃষ্ণপক্ষ) পিতৃপক্ষ শুরু। ১৯ আশ্বিন, ৬ অক্টোবর, বুধবার অমাবস্যা (মহালয়া) পিতৃপক্ষ শেষ। এরপরেই শুরু মহালয়ার পূণ্য তিথি। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে মহালয়ার পর প্রতিপদে বোধন হয়, এবং সেই সময় সংকল্প করে দুর্গা পূজা করা হয়। আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে মহালয়ার ‘মহ’ শব্দের এক অর্থ ‘প্রেত’। অর্থাৎ প্রেতের আলয় (আশ্রয়)। এছাড়াও এদিন দেবীপক্ষের সূচনা হিসেবেও ধরা হয়।
আজ, এই মহালয়া প্রসঙ্গে পুরাণের এক কাহিনী আলোচনা করি। যারা রামায়ণ বা মহাভারত পড়েছেন বা শুনেছেন তারা কর্ণকে ভালো মতন জানেন। এই কর্ণকে নিয়ে মহালয়ার দিন এক বিশেষ কাহিনী রচিত আছে।
কর্ণকে হিসেব মতো দাতা কর্ন বলা হয়। মহাভারত এর কাহিনী অনুযায়ী এই কর্ণের মৃত্যুর পর তার আত্মা স্বর্গে গমন করে। এরপর তাকে স্বর্গে খাদ্য হিসেবে সোনা, বিভিন্ন রত্ন দেওয়া হয়। কর্ণ ভারী অবাক হন, খাবারের জায়গায় রত্ন! এর কারণ হিসেবে তিনি জানতে পারেন তিনি কোনও দিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য এবং জল দান করেননি। তিনি কেবলমাত্র সোনা এবং রত্নই দান করেছেন।
সেসময় কর্ণ জানান যে তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না, তাই এসব কাজ তিনি কখনই করেননি। এরপর কর্ণকে যথারীতি এক পক্ষকাল সময় দেওয়া হয় মর্ত্যলোকে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জল দান করে পিতৃপুরুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য। এই সময়কাল ছিল পিতৃপক্ষ, ১৬ দিন। শাস্ত্র অনুযায়ী, এদিন মৃত ব্যক্তির বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। এদিন, অনেকেই তাদের পূর্বপুরুষকে জল দান করেন। হিসেব অনুযায়ী, এই অমাবস্যা তিথি হল প্রেতকর্মের কাজের জন্য সর্বোত্তম তিথি।