Lifestyle: বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে জড়ানো থাকে কেন, ৯০% মানুষ আসল কারন জানেন না
এই সমাজের বুকে বিরিয়ানি লাভার কে কে আছো? এমন প্রশ্ন করলে ১০০ জনের মধ্যে মনে হয় ৯৫ জনই আগে হাত তুলবে। ঠিক এই কারণেই এখন পাড়ার মোড়ে মোড়ে বিরিয়ানির দোকান। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বিরিয়ানি তো পাওয়া যায়ই, পাশাপাশি কলকাতার এবং তার আশেপাশে জায়গায় বিরিয়ানির জন্য বিশেষ দোকান বা রেস্তোরাঁ খুলে গিয়েছে। শুধু কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নয়, হেন কোনো স্টেট নেই যে যেখানে বিরিয়ানি পাওয়া যায় না। সবথেকে বড় ব্যাপার হল, ইদানিং ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে উঠছে ঘুমটি দেওয়া বিরিয়ানির দোকান। কোনো ব্যবসা হোক বা না হোক, একটা ছাতা লাগিয়ে বিরিয়ানির হাঁড়ি নিয়ে বসে গেলেই লাভ আর লাভ। পটাপট সব বিক্রি। আলু হোক বা চিকেন বা মটন। চাল, এসেন্স থাকলেই হল, বাকি তো যার যার চয়েস।
এখন জানবো এই বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে কেন মোড়া থাকে? জানতে চান? যদি বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন তবে এই লাল কাপড়ে কারণটাও নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করবে।
একটু ইতিহাস ঘাটতে হবে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে। বিরিয়ানি প্রথমত বাঙালীদের খাবার নয়। কারণ, বাঙালি মানে হল মাছ ভাত। কিন্তু,এখন ডাল ভাত বা মাছ ভাতের মতন বিরিয়ানি হয়ে উঠেছে সমসাময়িক। বাড়িতে জন্মদিন বা পার্টি বা গেট টু গেদার বা বিয়ে বাড়ি, বিরিয়ানি ইজ মাস্ট।
ঘটনা হল, মুঘলরা যখন রাজত্ব কায়েম করে তখন কলকাতায় আসে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ। সালটা ১৮৫৬। তখন থেকেই বিরিয়ানির আবির্ভাব। সেই সময় সম্রাট হুমায়ুনের খাদ্য পরিবেশন করার সময় ‘দরবারি রীতি’ অনুযায়ী রুপোলি পাত্রে খাবার লাল কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকতো, এবং চিনামাটির পাত্রগুলিকে সাদা কাপড়ে ঢেকে অতিথিদের সামনে পরিবেশন করা হত। সেই থেকে ঐতিহ্য মেনে লাল কাপড়ের চল শুরু হয়। অবশ্য কিছু মানুষ বলেন লাল কাপড় দেওয়ার অর্থ হল দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ব্যাপারটা হল, যখন দুপুরে খুব খিদে পায়, রাস্তার পাশে একটা লাল হাড়ি চোখে পড়ে তখনই মনটা আলু আলু কিংবা চিকেন চিকেন করে ওঠে। খরিদ্দার টানতেই বর্তমানে এমনটা করে থাকেন বিরিয়ানি ব্যবসায়ীরা।