whatsapp channel
Hoop PlusTollywood

Swastika Mukherjee: লাল পাড় সাদা শাড়ি সিঁথিতে সিঁদুর, পুজোর প্রাক্কালে মায়ের আরাধনায় ব্রতী স্বস্তিকা

সাদা কাশের বন, শিউলির টুপটাপ ঝরে পড়া, রাত জেগে ঠাকুর আনা, তারপরেও শত কাজের মধ্যে পুজো নিয়ে অনেক আশা, শুধুমাত্র মা আসছেন বলে। চারটি দিনের জন্য হাজার প্রস্তুতি। বহু পরিবার আছেন যাঁদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। সবাই মুর্তিপুজো করেন না। যেমন স্বস্তিকা মুখার্জী (Swastika Mukherjee)-রা। পুজোর চারটে দিন নিজের হাতে আরাধনা করবেন স্বস্তিকা। তবু বড্ড মন কেমন!

মুখার্জী বাড়িতে ঘটে দুর্গাপুজোর চল করেছিলেন স্বস্তিকার মা। আশৈশব পুজোর চারটে দিন মানে লাল পাড় গরদের শাড়ি পরে ব্যস্ত চিন্ময়ী দুর্গা মাকে মৃন্ময়ীর আরাধনা করতে দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন স্বস্তিকা। নিজের জন্য থাকত দেদার আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু 2015 সাল আচমকাই সব বদলে দিল। চলে গেলেন স্বস্তিকার মা দুর্গা। মেয়েবেলা থেকে মা-বাবার কাছে পাওয়া ঈশ্বর ভক্তিতে চিড় ধরতেই পারত। কিন্তু ধরল না। সামলে নিলেন সন্তু মুখোপাধ্যায় (Santu Mukhopadhyay), স্বস্তিকার বাবা।

ইন্সটাগ্রামে পুজোর প্ল্যানিং শেয়ার করতে গিয়ে স্বস্তিকা একবার মা-বাবার প্রতি ‘ছিলেন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তারপরেই নিজের উপর নিজের রাগ হয়েছে। কারণ তিনি তো ধরে রেখেছেন মা-বাবার স্মৃতি। গত বছর তাঁকে একা করে দিয়ে চলে গেছেন বাবাও। মা চলে যাওয়ার পরেই নিজের কাঁধে দুর্গাপুজোর ভার তুলে নিয়েছিলেন স্বস্তিকা। মায়ের মতো খুঁটিনাটি প্রথমদিকে পারতেন না। রাগ হত। মনে হত, ছেড়ে দিলেই হয় এই গুরুদায়িত্ব। কিন্তু পারেননি। পুজোর চারটে দিন নিজের হাতে মাতৃ আরাধনা করবেন স্বস্তিকা।

কিন্তু এবার যে বড্ড ইচ্ছা ছিল মায়ের লাল পাড় গরদটা পরার। সারা বাড়ি খুঁজছেন স্বস্তিকা, পাননি। রাগ করে বলেই ফেলেছেন মাকে “গোছনদার”। তবে একদিন না একদিন তো নিশ্চয়ই শাড়িটা খুঁজে পাওয়া যাবে। আপাতত তাঁর বান্ধবী কালির দেওয়া লাল পাড় শাড়িটাই পুজোর কাজে লেগে গেল। তবে স্বস্তিকার মেয়ে অন্বেষা (Anwesha) মিস করেননি এমন মুহূর্ত। তিনি মায়ের কয়েকটি ছবি তুলে দিয়েছেন দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে মেয়ের তোলা ছবিগুলি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা।

whatsapp logo