Bengali SerialHoop Plus

Shruti Das: ১৪ বছরের বড় স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে সম্পর্কে মায়ের আপত্তি ছিল, মুখ খুললেন শ্রুতি!

স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দেশের মাটি’-র নোয়া শ্রুতি দাস (Shruti Das)-এর সঙ্গে পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar)-এর সম্পর্ক কারো অজানা নয়। এমনকি তাঁরা দুজনে মিলে একটি ট্র্যাভেল ভ্লগও খুলেছেন। স্বর্ণেন্দুর পরিবারের সঙ্গে শ্রুতির পরিবারের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক। কিন্তু একটা সময় স্বর্ণেন্দুকে পছন্দ করতেন না শ্রুতির মা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Shruti Das (@shrutidas_real)

সোমবার ফেসবুকে নিজের জীবনের এই ঘটনা শেয়ার করেছেন শ্রুতি। তিনি জানিয়েছেন, শুরুর দিকে স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারেননি শ্রুতির মা। তিনি শ্রুতির সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ফিরে গিয়েছিলেন কাটোয়ার বাড়িতে। কিন্তু প্রথমবার স্বর্ণেন্দুকে দেখে শ্রুতিকে সচেতন করে তাঁর মা বলেছিলেন, তিনি যাতে প্রেমে না পড়েন। মায়ের কথা সেই সময় হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রুতি। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই সবকিছু বদলে গিয়েছিল।

শ্রুতি লিখেছেন, 2019 সালের শুরুর দিকে ‘ত্রিনয়নী’-র সেটে প্রথমবার এসেছিলেন শ্রুতির মা। প‍্যাক-আপের পর স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে নিজের মায়ের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন শ্রুতি। এরপর সামান্য কুশল বিনিময় করে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন স্বর্ণেন্দু। তিনি চলে যাওয়ার পর শ্রুতির মা বলেছিলেন, স্বর্ণেন্দু লম্বা, হ্যান্ডসাম ও যথেষ্ট ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। ফলে মেয়ে যেন তাঁর প্রেমের না পড়ে। শ্রুতি তাচ্ছিল্য ভরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মায়ের কথা। 2019 সালের জুলাই অথবা অগস্ট মাসে শ্রুতির বাবার মাধ্যমে তাঁর মা জানতে পারেন, স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে শ্রুতির প্রেমের সূত্রপাত হয়েছে। শ্রুতি মাকে বেশি ভালোবাসলেও ভয়ও পান। তাই বাবাকে তিনি তাঁর সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন। শ্রুতির সঙ্গে স্বর্ণেন্দুর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে শ্রুতির জন্মদিনের পর সেপ্টেম্বর মাসে কাটোয়া ফিরে গিয়েছিলেন শ্রুতির মা। এরপর তিনি তিন মাস মেয়ের মুখ দেখেননি।

কিন্তু ‘ত্রিনয়নী’-র শুটিং চলাকালীন শ্রুতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে অ্যাডমিট করেন। সেই সময় ‘বাঘবন্দি খেলা’-র শুটিংয়ে সুন্দরবনে আউটডোরে ছিলেন স্বর্ণেন্দু। তিনি শ্রুতির অসুস্থতার খবর পেয়ে শ্রুতির মাকে ফোন করে বলেন, তাঁকে নিয়ে সমস্যার কারণে শ্রুতিকে কেন কষ্ট দেওয়া হচ্ছে! শ্রুতি নিজের মাকে ছাড়া ভালো নেই বলে তাঁর মাকে ফিরে আসার অনুরোধ করেন স্বর্ণেন্দু। শ্রুতির মা পরে কথা বলবার অছিলায় ফোন কেটে দিলেও কলকাতায় ফিরে আসেন। সাথে আসেন শ্রুতির বাবাও।

তবুও মায়ের আচরণ ও অচেনা একজনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যখন শ্রুতি অতিষ্ঠ, তখন তাঁর বাবা তাঁকে ভরসা যুগিয়ে বলেন, শ্রুতির মা একদিন স্বর্ণেন্দুকে পছন্দ করবেন। ইতিমধ্যেই শ্রুতির বাবার সাথে স্বর্ণেন্দুর আলাপ হয়েছে। স্বর্ণেন্দুও শ্রুতিকে বলেন, একদিন শ্রুতির মা তাঁকে আপন করে নেবেন।

সত্যিই বরফ ধীরে ধীরে গলেছিল। শ্রুতির মা স্বর্ণেন্দু ভালো-মন্দ সম্পর্কে খোঁজ রাখতে শুরু করেছিলেন। শ্রুতি জানিয়েছেন, আজ সকলেই তাঁর সাজানো-গোছানো জীবনটা দেখেন। কিন্তু সেদিনের দুর্গম পথের সাক্ষী কেউ ছিলেন না। বর্তমানে স্বর্ণেন্দু ও শ্রুতির মায়ের সুন্দর সম্পর্ক দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শ্রুতি। কারণ লড়াইটা ছিল তাঁর ও তাঁর বাবার। পাশে ছিলেন কয়েকজন বন্ধু। শাশুড়ি-জামাইয়ের বন্ধুত্ব এভাবেই যেন অটুট থাকে, শ্রুতি সবসময় সেই প্রার্থনা করেন।

Related Articles