গত বছর দুর্গাপুজোর সময় ঋতাভরী নিজের মা শতরূপা স্যান্যাল (Shatarupa Shanyal) ও দিদি চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী (Chitrangada Chakraborty)-র কয়েকটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, তাঁরাই ঋতাভরীর দুর্গা। সত্যিই ঋতাভরীর জীবনে তাঁর মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। শতরূপার জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ঋতাভরী।
ইন্সটাগ্রামে ঋতাভরীর শেয়ার করা ছবিতে কখনও ঋতাভরী ও তাঁর মা মজা করে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন। কখনও বা উঠে এসেছে ঋতাভরীর শৈশবের মুহূর্ত। কখনও একটি ছোট্ট ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে স্পেশ্যাল চাইল্ডদের জন্য তৈরি স্কুলে আনন্দ করছেন ঋতাভরী ও শতরূপা। শিশুদের মুখে আনন্দের হাসি। ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে ঋতাভরী লিখেছেন, তাঁর মা একজন লেখিকা, কবি, পরিচালক, পশুচিকিৎসক যাই হোন না কেন, সর্বোপরি তিনি ঋতাভরীর মা। শতরূপা শুধুমাত্র ঋতাভরী ও চিত্রাঙ্গদার মা নন, তিনি একশোটি দরিদ্র শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন যারা তাঁকে মা বলে ডাকে। তিনি সেই সমস্ত অবলা পশুদের মা, যাদের চিকিৎসা করেন তিনি। ঋতাভরী তাঁর মাকে নিয়ে গর্বিত। নেটিজেনরাও শতরূপাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শতরূপা অত্যন্ত লড়াকু এক মহিলা। পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী (Utpalendu Chakraborty)-র সঙ্গে বিয়ের পর চিত্রাঙ্গদা ও ঋতাভরীর মা হয়েছেন তিনি। উৎপলেন্দু স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। তখন চিত্রাঙ্গদা ও ঋতাভরী অত্যন্ত ছোট। তাঁরা মাকে অত্যাচারিত হতে দেখে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। একসময় আর সহ্য করতে না পেরে দুই মেয়ের হাত ধরে বেরিয়ে আসেন শতরুপা। বাপের বাড়ির কোনো সাহায্য তিনি নেননি। একাই থাকতে শুরু করেন দুই মেয়েকে নিয়ে।
সংসার চালাতে অর্থের প্রয়োজন। শতরূপা আবারও নিজের কেরিয়ার গড়তে মন দেন। ঋতাভরী আজও সেই দিনটা ভুলতে পারেন না যখন মায়ের সঙ্গে তিনি ও দিদি আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। হেলথ ড্রিঙ্ক কেনার টাকা ছিল না। ফলে শতরূপা সেদিন থেকে দুই বোনকে চা খাওয়া অভ্যাস করিয়েছিলেন। আজ শতরূপার সমস্ত লড়াই সার্থক। চিত্রাঙ্গদা ও ঋতাভরী দুজনেই সুপ্রতিষ্ঠিত। শতরূপা পেরেছেন লড়াই করে জিততে, সমাজকে দেখিয়ে দিতে, তিনি সত্যিই মা দুর্গা।
View this post on Instagram