শীতকাল মানেই ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। যদিও শহরে দাপুটে শীতের অনুপ্রবেশ হয়নি, তবুও পুজোর পর শহর ছেড়ে অনেকেই ট্যুরে বেরিয়ে যান। যদি আপনার দক্ষিণ ভারত ঘোরার ইচ্ছা থাকে তবে এই মুহূর্তে তা রদ করুন। কারণ, আন্দামান সাগরে অবস্থা ভালো নয়। নিরাপদ ভ্রমণ কার্যকর হবে না।
কলকাতা এবং তার আসে পাশে বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে, এবারে মেঘ কেটে শীত ঢোকার পালা। সত্যি কি শীত আসবে নাকি নিম্নচাপের ভ্রুকুটির জেরে শীত অকাল বিদায় নেবে? এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মহানগরীতে হালকা শীত দেখা দেবে। কিন্তু, দক্ষিণ ভারত! তার অবস্থা বেহাল। চাষীদের মাথায় হাত এই মুহূর্তে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভারী বৃষ্টি। বর্তমানে জলে ভাসছে তামিলনাড়ু। নিম্নচাপের প্রভাবে পুদুচেরী ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলেও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল তামিলনাড়ু- অন্ধ্র উপকূলের উপরে একটি নিম্নচাপ ছিল যা এই মুহূর্তে উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে এবং এর ফলে সোমবারের মধ্যে আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপরে ভারী নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঠিক এরকমটাই হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আগামী ১৭ তারিখ আরেকটি নিম্নচাপের সম্ভবনা রয়েছে। এটি হবে মহারাষ্ট্র-গোয়া উপকূলে এবং আরবসাগরের উপরে।
এই মুহূর্তে, তামিলাড়ুতে যেমন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে তেমনি কেরলে চলছে ভারী বর্ষণ। ফলে ধান চাষে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা। কারণ এটা অসময়ের বৃষ্টি। ধান তোলার আগেই তা পচতে শুরু করেছে।