‘ক্রাশ’ এই শব্দের মধ্যে এক গভীর প্রেম লুকিয়ে থাকে। বিশেষ করে স্কুল কলেজে পড়ার সময় এই ক্রাশগুলো এসে ডুবিয়ে দেয় মনকে। সেই সময় মনে হয় যদি আমার স্বপ্নের বা পছন্দের মানুষ সবসময় আমার পাশে থাকতো, এইজন্য বোধ হয় অনেকেই স্কুল বা কলেজে ঢুকবে এই সময়টাতে পছন্দের মানুষদের ছবি দেওয়ালে আঠা দিয়ে ছিপকে দিত। পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার এক অদ্ভুত নেশা জাগতো মনে, এই এখন যেমন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়ের (Sayantika Banerjee) মনে চলছে একই অনুভূতি।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ নিয়ে কথা বলেছেন এক পত্রিকার পাতায়। ছোটবেলার ক্রাশ বা প্রেম নিয়ে অকপট অভিনেত্রী। প্রথম দর্শনে যার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন সেই স্মৃতি আজ তারই কলমে। ভাবছেন কে সেই মানুষ?
কমেডি আর অ্যাকশনে ভরপুর সুপারস্টার জিৎ (Jeet) এর আজ জন্মদিন। ফর্সা লাল টুকটুকে এই হিরোর প্রতি অনেকের গোপন ক্রাশ আছে এবং ছিল। বরাবর এই মানুষটা নাচে, গানে, মারপিটে জমিয়ে রাখতে পারে বাংলার দর্শকদের। কমার্শিয়াল ফিল্মের জন্য জিৎ এক দুর্দান্ত পাওয়ার বক্স। আজ তারই জন্মদিন। অভিনেত্রী সায়ন্তিকা তাই এই বিশেষ দিনে একটুও কার্পণ্য না করে গোপন প্রেম ঠোঁটে আনলেন। তার লেখনীতে, “আমি তো আর ‘কভি খুশি কভি গম’-এর কাজল নই যে শাহরুখ আমাকে দেখেই প্রেমে এক্কেবারে হাবুডুবু খাবে! কিন্তু জিৎ-দা এসে আমার যাবতীয় ভাবনা, অবিশ্বাসকে এক লহমায় তছনছ করে দিয়ে চলে গেল। প্রথম দর্শনেই ধপাস করে ওর প্রেমে পড়ে গেলাম!”
সাথী দেখার সময় প্রথম গোপন প্রেম শুরু সায়ন্তিকার। তখন কি তিনি থোড়াই জানতেন এই গোপন প্রেমিকের একদিন তিনিই নায়িকা হবেন। পরবর্তীতে জিৎ এর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন সায়ন্তিকা ‘আওয়ারা’ ছবিতে, সালটা ২০১২. সায়ন্তিকার কথায়, “যখন শট থাকত না, জিৎ-দাকে দেখতাম”। তাইতো এই মুহূর্তে এসেও সায়ন্তিকা মাঝে মধ্যে বলে ফেলেন, জিৎ-দা আমি তোমাকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ। তোমায় যদি বিয়ে করতে পারতাম!”