আমাদের দেশে মেয়েদেরকে মা বলে ডাকার এক দারুন অভ্যাস ও সংস্কৃতি আছে। কারণ, মেয়ে মানেই মায়ের জাত। তাই আজও বাবারা তার কন্যাকে মা বলে ডাকেন, এমনকি পাড়ার মেয়েকেও মা বলে ডাকেন। সেখানে দাঁড়িয়ে শাশুড়িকে মা বলে ডাকা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। সেই মা যতই দাপুটে হোক, কুসংস্কারে ভরপুর হোক, দাম্ভিক হোক বা হিংসুটে। শাশুড়িকে মা বলেই ডাকার প্রচলন এই দেশে। কিন্তু, কাজলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।
অভিনেত্রী কাজল তার শাশুড়িকে মা বলে সম্বোধন করেন না। তিনি তাকে আন্টি বলেই ডাকেন। এবং এতে তার একটুও আফসোস নেই। বিয়ের এত বছর পরেও শাশুড়িকে তিনি আন্টি সম্বোধন করেন। কিন্তু, কেন?
কাজলের কথায়, বিয়ের চার বছর আগে থেকে অজয়ের বাড়িতে যাতায়াত করতেন কাজল। তখন থেকেই অজয়ের মাকে তিনি আন্টি বলতেন। বিয়ের পর আর মা বলা হয়নি। এমনকি এত বছর পরেও মা বলার অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারেননি তিনি। এতে কাজলের শাশুড়ির বন্ধুমহলে নিন্দার ঝড় উঠেছিল কিন্তু তার শাশুড়ি ব্যাপারটিকে বুদ্ধি দিয়ে সামলে নেন। অজয় দেবগনের মায়ের কথায়, ‘ও যখন মা বলবে, তখন মন থেকে বলবে। মাথা দিয়ে বিচার করে বলবে না’।” এখনও পর্যন্ত কাজল তাকে আন্টি বলেই ডাকেন।
শুধু কাজল নন, আমাদের আশেপাশেও বেশ কিছু স্ত্রী আছেন যারা তাদের শাশুড়িকে আন্টি সম্বোধন করেন। যদিও ব্যাপারটি একেবারেই অন্যায় সূচক নয়, কিন্তু বিদেশি কালচারে আজও আমরা সমৃদ্ধ। ইংরেজি বইতে ছোটবেলায় আমরা পড়েছি কাকি, মাসি, মামী সকলেই আন্টি। তেমনই কাকা, মামা, জ্যেঠু সকলেই আঙ্কেল। আমাদের বাংলা সমৃদ্ধ ভাষা। তাই এখানে প্রত্যেকটি পরিচয় আলাদা। প্রত্যেকটি সম্বোধন আলাদা, ঠিক সেই কারণেই এই দেশ আজও সমৃদ্ধ।