whatsapp channel

Suchitra Sen: বাবা-মা দু’জনেরই দায়িত্ব একা হাতে পালন করতেন, মায়ের স্মৃতিচারণায় মুনমুন সেন

আজ ১৭ ই জানুয়ারি, মায়ের জন্য মন খারাপ করার বিশেষ দিন। এদিনই সকলকে কাদিয়ে চলে যান মহানায়িকা। তাই আজকের বিশেষ দিনে স্মৃতি চারণায় রইলেন মুনমুন সেন।

Avatar

HoopHaap Digital Media

আজ ১৭ ই জানুয়ারি, মায়ের জন্য মন খারাপ করার বিশেষ দিন। এদিনই সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান মহানায়িকা। তাই আজকের বিশেষ দিনে স্মৃতি চারণায় রইলেন মুনমুন সেন।

মুনমুনের কথায়, তার মা ছিলেন একক সম্বল। তার মা নিজেই বাবা ও মায়ের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। পড়াশুনো থেকে সন্তান পালন সবটাই নিজে করতেন। একদিকে সিনেমা অন্যদিকে সন্তান লালন পালন কোনোটাতেই খামতি রাখেননি তিনি। একবার এক সাক্ষাৎকারে মুনমুন জানান যে সুচিত্রা সেন অর্থাৎ তার মা খুবই মুডি ছিলেন এবং একা থাকতে বেশি পছন্দ করতেন। তবে কখনো কখনো জামাইকে সাথে নিয়ে বা বন্ধুদের সাথে নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে কাবাব খেতে যেতেন।

কিন্তু, সুচিত্রা সেন একাই কেন মেয়ের দেখভাল করতেন? এই ব্যাপারে একাধিক সূত্রে জানা যায় যে তার স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বিশেষ মধুর ছিল না। এই ব্যাপারে তলানিতে গিয়ে আলোচনা করলে জানা যায় পাকিস্তান বিভাজনের সময় সুচিত্রা সেনের পুরো পরিবার কলকাতায় চলে আসেন। অবশ্য তখনও তার নাম সুচিত্রা হয় নি। এই নাম অভিনয় সূত্রে পাওয়া। ১৯৪৭ সালে আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রার বিয়ে হয়। তখন তার পদবী হয় সেন এবং এই দিবানাথ বাবুর মামা বিমল রায় ছিলেন সেইসময়ে বিখ্যাত পরিচালক।শুরু হয় পরিচয় এবং তারই হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন রমা সেন, এরপর হয়ে ওঠেন সুচিত্রা সেন। যদিও, স্বামীর সঙ্গে সুচিত্রা সেনের সম্পর্ক বিশেষ ভালো ছিল না। অশান্তি রীতিমত হাতাহাতি পর্যন্ত যায়। এমনকি, এক রাতে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে কানন দেবীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন।

উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর দিয়ে জুটি হিসেবে কাজ শুরু করেন সুচিত্রা সেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। হয়ে ওঠেন মহানায়িকা। কিন্তু, কেমন সময় যেখানে উত্তম কুমার চলে যাওয়ার পর অভিনয় দুনিয়া থেকে নিজেও বিদায় নেন সুচিত্রা সেন। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত অন্তরালে থেকে যান মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তবে আজও তিনি জীবিত আছেন সেই সুন্দরী দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media