বলিপাড়ার মতো এখন টলিপাড়াও নেপোটিজমের আওতায়। আগেও ছিল তবে এখনকারের মতো এতটা ঘৃন্যতম ছিলনা। পলিটিক্স-এর সাথে সাথে এখন এক-একটি গ্রূপে বিভক্ত হয়েছে টলিউড। এমনটাই জানালেন শতাব্দী রায়। নব্বই-এর দশকের এক অন্যতম অভিনেত্রী তিনি। ‘রাজা রাণী বাদশা’র মতো জনপ্রিয় সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে আগে।
বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড থেকে শুরু করে কলাকার আওয়ার্ড, ভারত নির্মাণ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছিলেন তাঁর অন্যতম অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। তবুও বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে অনেক উল্লেখযোগ্য ছবি থেকে। কারণ একটাই বলি স্টাইলে নেপটিজম আর টলিউড স্টাইলে যাকে বলে স্বজন পোষণ। শতাব্দীর মতে এই ভাইরাস আগেও ছিল, এখনও আছে আর হামেশা থাকবে। তবে এখন ঘৃণ্যতা বেশ বেড়েছে।
শতাব্দী নেপোটিজম-এর কবলে পড়ে কিভাবে মানিয়ে নিয়ে ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে?
হিরোর পছন্দের নায়িকা হতে না পেরে তাঁকে অনেক ছবি ছেড়ে দিতে হত। প্রতিভার জায়গায় পছন্দসই হওয়া বেশি মানানসই তখন বড়সরো হিরো বা পরিচালকদের জন্য। অঞ্জন বাবু (চৌধুরী), সুখেন দাস স্বাভাবিকই নিজেদের মেয়েদের তুলে ধরতেন। বেশ অভিমান হতো ‘লাল পান বিবি’র। কিন্তু সেটাকে কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।
তখনকার সময়ের টলি পাড়ার প্রথম সারির প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিৎ-তাপস পালের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল নায়িকার?
ঠিকঠাকই ছিল। অশান্তিও হতো। বিশেষত বুম্বা দার সাথে ওঁর বেশিই ঝামেলা হতো। তাই ওঁর সাথে তখন কথা না হলেও পর্যাপ্ত কাজের অবশ্য অন্যথা হতনা। চিরঞ্জিত-এর সাথে ঝামেলাও হয়েছে মিটেও গেছে। মানুষটার সাথে কথা বললেই ভালো লাগত। তবে তাপস পালের সাথে কোনো রকম বাকবিতণ্ডায় জড়াতে কোনোদিনই হয়নি তাঁকে। এটাও জানালেন টলি সুন্দরী শতাব্দী রায়। যাই হোক, যে দিন ফেলে এসেছেন এখন আর তা ভেবে কাজ কি!