দক্ষিণী সিনেমার রশ্মিকা মন্দানা নামটি কমবেশি সবাই জানেন। অতিসম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা’ ছবির শ্রীবল্লি হয়ে আগের তুলনায় অনেক গুণ নাম-জশ কুড়িয়ে ফেলেছেন। শীঘ্রই সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে ‘মিশন মজনু’ ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করবেন। তাঁর মোহিনী হাসি দেখে নেটপাড়া একেবারেই কুপোকাত। একাধারে তিনি ভারতের জাতীয় ক্রাশও। এত কিছুর পরেও ট্রোল কিন্ত রশ্মিকার পিছু ছাড়েনি। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আসা থেকে বারংবার পড়েছেন তিনি বাজে ট্রলের মুখে।
সম্প্রতি কোনো এক সন্ধ্যায়, রশ্মিকাকে মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁর বাইরে দেখা গিয়েছিল। সেখানে কিছু গরিব বাচ্ছা মেয়ে অর্থ এবং খাবার চাইতে এসেছিল তাঁর কাছে। তিনি ভিক্ষা করা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে মুচকি হেসে চলে গিয়েছিলেন গাড়িতে উঠে। ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই নেটপাড়া বাচ্ছাগুলিকে কিছু না দেওয়ার জন্য রশ্মিকার উপর প্রতিবাদ হাঁকিয়ে বসে। কিছুদিন আগে তাঁর এয়ারপোর্ট লুকের জন্যও ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
‘অভাবী মানুষকে সাহায্য করার মন না থাকলে বিখ্যাত হওয়ার কোনও মানে নেই’- এমনই প্রতিবাদ আসে নেটনাগরিকদের কাছ থেকে। তাঁরা আবার এও বলেছেন, ‘ জাতীয় ক্রাশের কাছে ওই বাচ্ছা মেয়েগুলোকে দেওয়ার জন্য 10 টাকাও ছিল না’।এমন বিভৎস ট্রোলের দরুন অসঙ্গত রশ্মিকা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বলিউডে আশা থেকে এমন পরিস্থিতিতে পড়ছি আমি। এই সম্পর্কে কোনো আইডিয়াই ছিল না আমার। আমার চরিত্র আমার ব্যক্তিত্বের উপর এভাবে আঘাত আসতে পারে আমি ভাবিনি।’
“এই ট্রোলের শিকার হয়ে কেমন অনুভূতি ছিল আপনার?” সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল রশ্মিকাকে, উত্তরে তিনি বলেন,
“আমি নিজেকে সন্দেহ করতে শুরু করেছি। আমার কি করা উচিৎ? আমার কি হাত কাটা উচিত? আমি যাই করি না কেন, নিজেকে মানাতে পারছি না কারণ আমি একটি নির্দিষ্ট হিসেবে আচরণ করতে পারিনা।অবশ্যই ভীষণ ভাবে এই ট্রোলিং বিষয়টি প্রভাবিত করছে আমায়। শুধু একটাই কথা বলবো আমাকে বদনাম করো কিন্তু আমার পরিবারকে নয়।” স্বাভাবিকই নিজের পরিবারের থেকে বড় কিছুই হয়না।