টলিপাড়া অথবা টেলিপাড়া উভয়ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি একাধারে সঞ্চালিকা ও অভিনেত্রীও বটে। নামী পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী হলেন সুদীপা। শুধু তাই নয়, ‘জি বাংলার রান্নাঘর’ শো-তেও তাঁর সঞ্চালনা ছাড়া রান্নাঘর দেখার কথা তো ভাবতেই পারেন না দর্শক। আবার বহু ক্ষেত্রে ট্রোলেরও শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। ‘অহংকারী’ খেতাব তো তাঁর নিত্যদিনের বন্ধু বললেই চলে।
কিছুদিন আগেই কোভিডের কবলে পড়ে জি বাংলা থেকে সরে গিয়েছিলেন সুদীপা। কয়েকদিনের জন্য রান্নাঘরের হেঁশেল ঠেলার জন্য গুরুভার নিয়েছিলেন তিয়াশা। তিয়াশার ফলোয়ার্স খুশি হলেও রান্নাঘরের অনুরাগীদের মুখভার। আকুল হয়ে পড়েছিলেন সুদীপাকে আবার খুন্তি হাতে দেখার জন্য। সুখবর, সম্প্রতি সুস্থ হয়ে ‘জি বাংলার রান্নাঘর’-এর শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরেছেন সুদীপা। সম্প্রচার হতে একটু দেরি।
নিজের কামব্যাককে নেটিজেনদের সামনে সুনিশ্চিত করতে সোমবার ফেসবুকে বড় পর্দার জনপ্রিয় সুপারস্টার অঙ্কুশ হাজরার সাথে ছবি দিয়েছেন সুদীপা। ক্যাপশন ছিল,’মা অন্যজন কিন্তু ভাই আমার’। অনুরাগীরা তো খুশি তাঁকে এইভাবে ফিরে পেয়ে, ‘ভালো লাগছে দুজনকে একসাথে দেখে’। কিন্তু বরাবরের মত এই ক্ষেত্রেও অহেতুক কটাক্ষ পেতে হলো তাঁকে, ‘অহংকারী সুদীপা’। এর আগেও তাঁকে এমনটা শুনতে হয়েছিল। কারণ রান্নাঘরে নাকি তিনি অন্যদের রান্নাকে খারাপ ভাবে যাচাই করে নিজেকে বড় প্রমাণিত করতেন। যেটা কিছু দর্শকের একদমই ভালো লাগেনি। ধনতেরস সোনার পৈতে বিক্রি করতে গিয়েও ট্রোল হয়েছেন তিনি। তবে বেশিরভাগ সময় গুরুত্ব দেন নি ট্রোলিংকে।
‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এও কিছুদিনের জন্য রচনা ব্যানার্জীর পরিবর্তে সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে। সাথে তিনি রান্নাঘরেও থাকবেন। প্রসঙ্গত, সুদীপ্তা চক্রবর্তীর ‘তিন কন্যা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনয় প্রতিভা ও সঞ্চালন প্রতিভা দুই-ই অন্যন্য।