সইফ আলি খান (saif Ali khan) ও করিনা কাপুর (Kareena Kapoor khan)-এর প্রথম পুত্রসন্তান তৈমুর (Taimur) তার জন্মের দিন থেকেই পাপারাৎজিদের লিস্টে চলে এসেছে। প্রথমে তার নামের জন্য তাকে ট্রোল করা হয়েছিল। কিন্তু কখনও কখনও নেতিবাচকতা ইতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সেদিন থেকেই বলিউডের সমস্ত স্টারকিডদের থেকে স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছিল ‘সইফিনা’ পুত্র। কিন্তু করিনা কোনোদিন চাননি, তৈমুর আলোকবৃত্তের মধ্যে বড় হোক। তৈমুরের ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর (sharmila tagore)-ও একই মত পোষণ করেন। কিন্তু তৈমুরের বাবা সইফ তৈমুরকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি বিখ্যাত আরজে সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছেন, বহু ফিল্ম প্রযোজকরা সইফকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাঁর ফিল্মের প্রচারে পুত্র তৈমুরের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করতে। সইফকে এর জন্য তাঁরা পর্যাপ্ত অর্থ দিতেও রাজি ছিলেন। এমনকি ‘বাজার’ ফিল্মের প্রচারের সময় সইফের মাথার কাঁচা-পাকা চুলের মতো একটি উইগ তৈমুরকে পরাতে বলেছিলেন তাঁরা। ‘কালাকান্ডি’ ফিল্মে সইফের চুল পনিটেল করা ছিল। তৈমুরকেও ওই ধরনের পনিটেল করিয়ে ছবি তোলানোর প্রস্তাব আসে। ‘হান্টার’ ফিল্মের মতো জটা তৈমুরকে পরানোর প্রস্তাব এসেছিল। সইফ এই ধরনের প্রস্তাবকে মজাদার হিসাবে দেখলেও করিনা তাঁর উপর প্রচন্ড চটে যান।
তিনি সইফের উপর চেঁচিয়ে উঠে বলেছিলেন, সইফ কি করে নিজের ছেলেকে বিক্রির কথা ভাবতে পারেন? কিন্তু সইফ বলেছিলেন, এটা কোনো অপরাধ নয়। সবাই তৈমুরকে দেখতে চায়। কারণ তৈমুরকে সবসময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। তাহলে কোনো নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যদি তৈমুরকে দেখিয়ে অর্থ রোজগার করা যায় অথবা বাচ্চাদের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টের মুখ করা যায়, তাহলে সইফ এতে কোনো অন্যায় দেখেন না।
এমনকি এই টাকা তৈমুরের পড়াশোনার পিছনে খরচ করার কথা ভেবেছিলেন সইফ। তারপর নিজেই মজা করে সইফ বলেন, কিছু টাকা দিয়ে একটু সুইজারল্যান্ড ঘোরাও যেত। কিন্তু করিনা সইফের সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন।
View this post on Instagram